ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

যে কারণে শপথ নিতে পারেননি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন

মো. আমান উল্লাহ আকন্দ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২৪
যে কারণে শপথ নিতে পারেননি অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন

ময়মনসিংহ: ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে নবগঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হয়েছেন অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।  

তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মনোরোগবিদ‍্যা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ‍্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক।

 

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেলে মন্ত্রিপরিষদের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন গনমাধ‍্যমে এ তথ‍্য নিশ্চিত করেন।  

এরপর এদিন সন্ধ্যা ৬টার পর সচিব ডা. বিধানকে ফোন করে শপথ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানান।  

তবে তিনি ময়মনসিংহ নগরে নিজ বাসায় অবস্থান করায় তিনি যেতে পারেননি। আগামী শনিবার অথবা রোববার তিনি শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।  

উপদেষ্টা হওয়ার খবরে ডা. বিধান রঞ্জন রায়ের বাসায় ভিড় জমান তার সহকর্মী, প্রতিবেশী ও স্বজনরা। এসময় তার বাসায় অনেককে মিষ্টি হাতে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে আসতেও দেখা গেছে।  

ডা. বিধান রঞ্জন রায়ের স্ত্রী কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ময়মনসিংহের প্রভাষক ডা. রমা সাহা বলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর হঠাৎ ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। তবে তিনি বর্তমানে বাসায় (ময়মনসিংহ) অবস্থান করায় শপথ অনুষ্ঠানে যেতে পারেননি।  

জানা যায়, ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার ১৯৬৩ সালে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার মধ‍্য নগর গ্রামে জন্ম নিয়েছেন। তার বাবার নাম ডা. গোপী রঞ্জন রায় পোদ্দার। তিনি সুনামগঞ্জ জুবলি উচ্চ বিদ‍্যালয় থেকে এসএসসি ও ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। এরপর তিনি স‍্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। সেখান থেকে কর্মজীবনে যোগদান করে ১৯৯৭ সাল থেকে তিনি পরিবার নিয়ে ময়মনসিংহ নগরে বসবাস শুরু করেন। বতর্মানে তিনি ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে সপ্তাহে তিনদিন নিয়মিত রোগী দেখেন বলেও জানিয়েছেন তার স্ত্রী ডা. রমা সাহা।  

সূত্র জানায়, ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখির সঙ্গেও জড়িত। তার প্রকাশিত বইয়ের মধ‍্যে সামাজিক চেতনার মনস্তত্ত্ব (২০১৬), এপিকুরস, আধুনিকতা ও আমরা (২০১৮), সিগমুন্ড ফ্রয়েড এবং অফ্রয়েডীয় ফ্রয়েডবাদীগন (২০২০) উল্লেখযোগ্য।  

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।