ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড-পদোন্নতির দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
সহকারী শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড-পদোন্নতির দাবিতে ৩ দিনের কর্মসূচি

ঢাকা: প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদ থেকে দশম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবি জানিয়ে তিনদিনের পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদ।  

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

লিখিত বক্তব্যে জাতীয় প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের সভাপতি শাহীনুর আকতার বলেন, ২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা করা হয়েছিল। সেখানেও প্রাথমিক শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এই ১০ বছরে দ্রব্যমূল্য যে হারে বেড়েছে তাতে প্রাথমিক শিক্ষকরা বাজারমূল্য বহন করতে দিশেহারা। বিগত স্বৈরাচারী সরকারের মেয়াদে বেতন বৃদ্ধির আশ্বাস পেলেও তা আদৌ বাস্তবায়ন হয়নি।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালের পেস্কেলে ২০টি গ্রেডে বেতন নির্ধারিত হয়েছিল। যার ২০ থেকে ১১তম গ্রেড পর্যন্ত গ্রেডের ব্যবধান নির্ধারিত হয়েছিল সর্বোচ্চ ৮০০ টাকা। অথচ দশম থেকে প্রথম গ্রেডের ব্যবধান রাখা হয়েছে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত। ফলে ১৩তম গ্রেডধারী সহকারী শিক্ষক ও ১১তম গ্রেডধারী প্রধান শিক্ষকের জীবনমানের কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। ২০০৯ সাল থেকে বন্ধ থাকা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি আজও আলোর মুখ দেখেনি। প্রাথমিক শিক্ষকদের সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করে একই পদে অবসরে যেতে হচ্ছে। তাছাড়া প্রধান শিক্ষকদেরও বিভাগীয় পদোন্নতি ব্লক করে রাখা হয়েছে।


বক্তব্যে আরও বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈষম্য নিরসনে সহকারী শিক্ষকদের জন্য ১২তম গ্রেডের, সহকারী প্রধান শিক্ষক ১১তম এবং প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার প্রস্তাব করেছেন। বৈষম্য নিরসনে প্রাথমিক শিক্ষক সমন্বয় পরিষদের পক্ষ থেকে এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করে সহকারী শিক্ষক এন্ট্রি পদ ধরে দশম গ্রেড ও শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির দাবি জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনদিনের পৃথক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।  সেগুলো হলো- 

১। আগামী ০৩ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে একযোগে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া।

২। ০৮ অক্টোবর বিভাগীয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে মানববন্ধন এবং বিভাগীয় কমিশনার মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া।  

৩। ১৭ অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না হলে ১৯ অক্টোবর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়াসহ পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. আমিনুল হক, গাজীউল হক চৌধুরী, আসমা খানম, সাবেরা বেগম, মো. মোজাম্মেল হোসেন, কামরুল হাসান, মো. মিজানুর রহমান, মো. আনোয়ার উল্লাহ, প্রমোথেশ দত্ত, মো. আনজারুল ইসলাম, ওয়ায়েছ চৌধুরী, টিএম জাকির হোসেন, গাজী সালাউদ্দিন, রবিউল আওয়াল, শিবাজী বিশ্বাস, মো. জাহাঙ্গীর, আহসান হাবিব, মো. মাসুদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
ইএসএস/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।