ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

বন্যায় ভিটেমাটি হারা দেড় শতাধিক পরিবারে হাসি ফোটালো পিএনআরএফআর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
বন্যায় ভিটেমাটি হারা দেড় শতাধিক পরিবারে হাসি ফোটালো পিএনআরএফআর

ঢাকা: কুমিল্লাসহ বৃহত্তর নোয়াখালী, ফেনী অঞ্চলে সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যায় ঘরবাড়িসহ সব হারানো দেড় শতাধিক পরিবারের পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক অনুদান দিয়েছে প্রফেসর নজরুল রিউমাটোলজি ফাউন্ডেশন অ্যান্ড রিসার্চ ট্রাস্ট (পিএনআরএফআর)।

ট্রাস্টের বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার একাধিক গ্রামের ১৫৬টি পরিবার ও পিএনআরএফআরের তিনজন সদস্যের হাতে অনুদান তুলে দেওয়া হয়।

শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীতর আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের মিলনায়তনে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে আর্থিক সহায়তা তুলে দেওয়া হয়।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫৩টি পরিবারের পাশাপাশি ট্রাস্টের তিনজন সদস্য, দুজন দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত রোগী ও মোহাম্মদপুরের একটি মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্য মোট ২০ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়।

আকস্মিক বন্যায় কেউ হারিয়েছেন ঘর। কারও আবার ঘরের সঙ্গে ভিটেমাটিও ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। অনেকের ঘরবাড়ি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হঠাৎ এমন বিপদের মুখে পড়া মানুষগুলোর তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য পিএনআরএফআরের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

পিএনআরএফআরের চেয়ারম্যান, বাতরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ট্রাস্টের উপদেষ্টা আন্তর্জাতিক চিকিৎসাবিজ্ঞানী অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি, মেজর জেনারেল কাজী ইফতেখারুল আলম, পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আমিনুল ইসলাম, সাবেক যুগ্ম সচিব আনোয়ারা বেগম।

অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসন খুব বেশি প্রয়োজন। সেই চিন্তা থেকেই এই উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়। এই কাজে ট্রাস্টের কার্যনির্বাহী সদস্য এম এম আমিনুর রহমান সাব্বির, সাউথইস্ট ব্যাংকসহ যেসব সদস্য সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি আমাদের অশেষ কৃতজ্ঞতা।

তিনি বলেন, এই ট্রাস্ট সূচনালগ্ন হতেই বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। বাত রোগীদের চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প, ফ্রি ওষুধ বিতরণ, বাত রোগী ছাড়াও অন্যান্য দুরারোগ্য রোগীদের জন্য এককালীন চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া, গরিব ও মেধাবী ছাত্রদের এককালীন সহায়তা ও বাৎসরিক বৃত্তি দেওয়া, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, শীতবস্ত্র ও পঙ্গু রোগীদের হুইলচেয়ার বিতরণ, ধর্মীয় উপাসনালয় তৈরি ও মেরামতের কাজ নিয়মিত করছে। যা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা এমন উদ্যোগের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি আগামী দিনে এমন দুর্যোগে যাতে আরও বড় পরিসরে কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় সেজন্য স্থায়ী কোনো পরিকল্পনা নেওয়ারও পরামর্শও দেন।

এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নীরা ফেরদৌস, সেক্রেটারি জেনারেল ড. পীযুষ কান্তি বিশ্বাস, ডেপুটি সেক্রেটারি ডা. বর্ষা ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সোবহান, কার্যনির্বাহী সদস্য মো. এনামুল হক, এম এফ ইসলাম মিলন, সামিউল হক, জোবায়ের আহমেদ, মো. বোরহান উদ্দিন, মো. ইউসুফ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২৪
টিএ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।