যারা গণমাধ্যমে নিষিদ্ধ সংগঠন, গণহত্যার আসামি ও ফ্যাসিস্টদের প্রচার-প্রচারণা করার সুযোগ করে দেবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে এক ফেসবুক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের দুটো চরিত্র উল্লেখ করে মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ একদিকে সন্ত্রাসী, ফ্যাসিস্ট, নৃশংস বাহিনী দিয়ে হত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন চালায় অন্যদিকে সুশীল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক কর্মীদের দিয়ে ফ্যাসিবাদের বয়ান ও বৈধতা তৈরি করে।
তিনি সতর্ক করেন, এ টিমের কুখ্যাত প্রোপাগান্ডিস্টরা নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নৃশংস খুনি নেতাদের জনপরিসরে হাজির করার পর সেটাকে এখন নরমালাইজ করতে বিভিন্ন মিডিয়া প্লাটফর্ম ও সাংবাদিকরা উদ্যোগ নিচ্ছেন। তারা এমন ভাব করছে যেন নিয়মতান্ত্রিকভাবে আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ এখন বিরোধী দল। বিরোধী মত হিসেবে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগের বক্তব্য প্রচার করার চেষ্টা করছে। তারা ভুলে গেছে বাংলাদেশে একটা ম্যাস কিলিং ঘটেছে জুলাই-আগস্টে যেখানে ছাত্র, শিশু, নারী, শ্রমিকসহ অসংখ্য মানুষের নির্মম মৃত্যু ঘটেছে এবং অসংখ্য জীবন পঙ্গু হয়ে গেছে।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, সেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এখনো গণহত্যা ও পঙ্গুত্বের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ এখন বিচারের কাঠগড়ায়। অথচ আওয়ামী লীগকে নানা কৌশলে নানা আন্দোলনে সমাজে হাজির করতে সচেষ্ট বিভিন্ন শক্তি।
কিন্তু এসব করে কোনো লাভ হবে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মো. নাহিদ বলেন, রক্তের ওপর দিয়ে আওয়ামী লীগের পতন ঘটেছে। আওয়ামী সিম্পেথাইজাররা এটা যত দ্রুত মেনে নেবে এবং জনগণের পক্ষে কাজ করবে ততো সবার জন্য মঙ্গল। আমরা জানি এ লড়াই চলমান এবং আমরা সব সময়ের জন্য প্রস্তুত।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২৪
এসএএইচ