ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

অকার্যকারিতাগুলো সিস্টেমে ঢুকে পড়ায় দ্রুততম সময়ে সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না: রিজওয়ানা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
অকার্যকারিতাগুলো সিস্টেমে ঢুকে পড়ায় দ্রুততম সময়ে সংস্কার সম্ভব হচ্ছে না: রিজওয়ানা

ঢাকা: সংস্কার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, অকার্যকারিতাগুলো সিস্টেমে ঢুকে পড়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা সারিয়ে নেওয়াটা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু অনেক লম্বি তো হচ্ছে সেরকমও কিন্তু না।

মাত্র তিন মাস সময় গেছে। এখন সংস্কার কমিশন যেগুলো হয়ে গেছে বাকিগুলো আশা করি আজকালকার মধ্যে হয়ে যাবে। সেখানে যারা যারা দায়িত্বে আছেন তারা তারা তাদের প্রতিবেদন দেবেন। ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা আশা করছি সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

সোমবার (১১ নভেম্বর) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘বাংলাদেশে উদ্ভিদের লাল তালিকা বই’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন ৷

সাংবাদিকরা রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন,  বলেন, এটা খুবই স্বাভাবিক যে, রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচন চাইবে। নির্বাচন তো আমরাও চাই। আপনি কি শুধু নির্বাচন চান, না এই যে চরম আত্মত্যাগ টা দেওয়া হলো এটার প্রেক্ষিতে যে সংস্কারের দাবি উঠেছে সেটাও চান। রাজনৈতিক দলগুলো কিন্তু সংস্কারের দাবি অস্বীকার করছে না। তারা সংস্কারের কথা বলছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংস্কার। আসলে কথা হল অকার্যকারিতা যেসব বিষয়ে সিস্টেমে ঢুকে গেছে এগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে সারিয়ে নেওয়াটা সম্ভব হচ্ছে না।  

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের কথা বলব কারণ তাদের যে স্টেক হোল্ডার তাদের কথা বিবেচনা করেই বলে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো থেকে সংস্কারের কোনো বাধা এসেছে সেরকম কিন্তু আমরা ফিল করছি না। এটা হচ্ছে জনগণের প্রত্যাশাটা কীভাবে আমরা অ্যাড্রেস করি তার ওপর নির্ভর করবে এবং এটা কিন্তু বাংলাদেশের জন্য একটা সুযোগ যে কতগুলো জায়গায় পরিবর্তন আনতেই হবে এবং সেগুলোর ক্ষেত্রে যে রাজনৈতিক ঐকমত্য করতেই হবে সেই প্রসেসের ভেতর দিয়ে যাব। আমরা নির্বাচন, জুলাই আগস্টের গণহত্যা, নিপীড়ন, অত্যাচারের বিচার, সংস্কার এই এই তিনটাকে প্রাধান্য দিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নিয়মিত মতবিনিময় করছি।

অপর এক প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, তারা খুব একটা অধৈর্য হয়েছে সেরকম তো মনে হচ্ছে না। আমি বলছি সংস্কারের দাবিটা এই সময় কেন এসেছে আমাদের কাছ থেকে এসেছে বলছি না এই সময় কেন এসেছে। তার একটা প্রেক্ষিত আছে জুলাই আগস্টের সেই প্রেক্ষিতকে তো আমরা ভুলে যেতে পারি না। সেই প্রেক্ষিতে নতুন নির্বাচন দাবি করে হয়নি সেই প্রেক্ষিত একটা বৈষম্যকে অ্যাড্রেস করতে হয়েছে। যেটা পড়ে সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার জন্য একটা সংস্কারের দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। কাজেই সেই প্রেক্ষিতটাকে কেউ ভুলে যেতে পারে না। বৈষম্য দূর করা প্রেক্ষিতটা হচ্ছে সংস্কারের জন্য এবং প্রেক্ষিতটা হচ্ছে ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে। এর বিরুদ্ধে নির্বাচনের কথা আসবে সংস্কারের ব্যাপারে সংস্কার প্রক্রিয়াগুলো শুরু করার বিষয়ে আসবে। তাদের প্রতি আমার আহ্বান হবে যে সংস্কারের দাবিটা কিন্তু গণদাবি এবং এখানে একটা রক্তক্ষয়ী প্রেক্ষিত আছে অন্তত এই ক্ষেত্রে আমরা সংস্কারগুলোর বিষয়ে জাতিগতভাবে এখন চেষ্টা করব।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএসএম হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত সচিব ফাহমিদা খানম, অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস, প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র এনভায়রনমেন্টাল স্পেশালিস্ট ইশতিয়াক সোবহান, আইই সিএনএর প্রতিনিধি সরওয়ার আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২৪
এসকে/এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।