ঢাকা, বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩১, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

শিক্ষা খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রেস সচিব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
শিক্ষা খাতকে দুর্নীতিমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে: প্রেস সচিব

ঢাকা: শিক্ষা খাতে ঘুষ, বদলি, কমিশন বাণিজ্যসহ সব ধরনের দুর্নীতি বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সম-সাময়িক ইস্যুতে ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা জানান।

প্রেস সচিব বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন দপ্তরে প্রমোশন, বদলি ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিশাল একটা ঘুষ বাণিজ্য হয়, কমিশন হয়, যত ধরনের দুর্নীতি হয়—সেই জায়গাটা আমরা চিহ্নিত করেছি। এটা নিয়েও কাজ হচ্ছে। শিক্ষায় যত ধরনের দুর্নীতি আছে, সেটা যেন আমরা শিক্ষাক্ষেত্রকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারি। এ ছাড়া আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা আছে।

শিক্ষকদের মানোন্নয়ন বিষয়ে সরকারের উদ্যোগের কথা জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, শিক্ষক প্রশিক্ষণকে বাইরে (বিভিন্ন দেশে) অনেক বড় বিষয় হিসেবে দেখা হয়। শিক্ষার মানোন্নয়ন করতে হলে শিক্ষকদেরও সেই লেভেলে নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু দেখা যায় সরকারি শিক্ষকরা যতটুকু প্রশিক্ষণের সুযোগ পান, বেসরকারি শিক্ষকরা সেটা পান না। সেটা নিয়ে সরকারের কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষার আধুনিকায়ন প্রসঙ্গে প্রেস সচিব বলেন, স্কুল-কলেজ পর্যায়ে আইসিটি বিষয়টি সেভাবে যুগোপোযোগী হয়নি। বিশ্বব্যাপী আইসিটি বিষয়টি যে পর্যায়ে চলে গেছে, সে অনুযায়ী আপডেট হয়নি। এটাকে সেভাবে আপডেট করা না গেলে টেকনিক্যাল বিষয়ে আমরা সেভাবে কোয়ালিটি সম্পন্ন ছেলেমেয়ে পাব না। এই জায়গায় কাজ হচ্ছে। বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তি, ভোকেশনাল ও কারিগরি শিক্ষাকে একেবারে আপ-টু-ডেট করার পরিকল্পনা আছে।

‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ গঠনের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ছিল। এখানে মঞ্জুরি শব্দটা বাদ দিয়ে ‘বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন’ হবে। কারণ বাংলাদেশে অনেকগুলো পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন যাতে আরও বৃহৎ আকারের কাজ করতে পারে। সর্বোচ্চ শিক্ষার মান যাতে আন্তর্জাতিক মানের হয় সেই কাজ বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। কিন্তু আমার কথা হলো, আমরা কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারব। আমার সময় তো আনলিমিটেড না। আমি একটা কাজ হাতে নিলাম, কিন্তু করতে পারলাম না। সেটা ঠিক না। সেক্ষেত্রে প্রত্যেকটা জিনিস আমরা দেখছি। আমরা কতটুকু করতে পারব, সে অনুযায়ী কাজ করছি। যে জায়গাগুলোতে মানসম্মত পরিবর্তন আসবে, সেই জায়গাগুলোতে আমরা বেশি ফোকাস করছি।

প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, সিনিয়র সরকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
এমইউএম/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।