মাদারীপুর: মাদারীপুর জেলার শিবচরেই থাকছে নির্মাণাধীন ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি’- এমন বার্তা দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে জেলার শিবচর উপজেলার কুতুবপুরে প্রকল্পস্থান পরিদর্শন শেষে এমন বার্তা দেন তিনি।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘আমরা এখন যে বিষয়টি দেখছি, এখানে এর কার্যকারিতা কতটুকু! পরিষ্কার করে বলতে গেলে, এই এলাকার জনগণের উপকারে আসবে কিনা। উপযোগিতা কতটুকু রয়েছে। এই জিনিসগুলো যখন আমরা প্রমাণ পাই, তখন কার্যক্রমগুলো শুরু করে থাকি। তাছাড়া বিগত সরকারের সময়ই এই কার্যক্রমগুলোর মধ্যে ভবন নির্মাণের চুক্তি, জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। এর মধ্যে জমি অধিগ্রহণের কাজটি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। বিলের বিষয়ে ইতোমধ্যে কথা হয়েছে। প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। প্রক্রিয়া শেষে পেমেন্ট সেটেল করা হবে।
তিনি বলেন, ভবন নির্মাণের ঠিকা চুক্তি ইতোমধ্যে হয়ে গেছে। আমাদের একটি কমিটি ছিল, যে কমিটির তদন্ত রিপোর্ট আমরা হাতে পেয়েছি। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আজকে আমরা সরেজমিনে এখানে এসেছি। এরপর আমাদের একটা পিএসসি (প্রজেক্ট ইস্টেয়ারিং কমিটি) মিটিং হবে। এ মিটিংয়ের এর পরেই আমরা 'গো অন' বলে দেব। তাছাড়া এই টেকনোলজির কাজ চলমান রয়েছে।
শীষ হায়দার চৌধুরী আরও বলেন, ফরমালি বলতে গেলে, মিটিং শেষে আরেক সপ্তাহ পরেই আমরা বলতে পারবো কাজ শুরুর বিষয়টি।
সরকারি একটা নিয়ম নীতি রয়েছে। এরমধ্যে পিআইসি এবং পিএসসির মিটিংগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে অর্থ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এর প্রতিনিধিরা রয়েছে। মিটিংয়ে তাদের কাছে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়। এরপর সার্বিক মতামতের ভিত্তিতে সুযোগ্য উপদেষ্টা মহোদয় অনুমোদন দিলে আমরা আনুষ্ঠানিক কাজ শুরুর কথাগুলো বলতে পারি। আর অনানুষ্ঠানিকভাবে বলতে গেলে প্রকল্প এখানেই হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই প্রকল্প শিবচর থেকে পূর্বাচল চলে যাচ্ছে এমন কথা আমার তরফ থেকে বা আমার ডিভিশন থেকে বলা হয়নি। পূর্বাচলে আমাদের একটি আইসিটি ভবনের জন্য জায়গা নির্ধারিত রয়েছে। এই প্রকল্প এখান থেকে পূর্বাচলে যেতে হলে জমি অধিগ্রহণ করতে হবে, যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং প্রকল্প সরানোর সুযোগ নেই। এখান থেকে প্রকল্প সরাতে হলে এই পরিমাণ জমি বা এর অর্ধেক জমিও লাগবে, যা পূর্বাচলে নেই। অর্থাৎ এটা শিফট হয়ে পূর্বাচলে যাবে এমন সম্ভাবনা নেই।
এসময় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- হাইটেক পার্কের ব্যবস্থাপক, অতিরিক্ত সচিব একেএম এনামুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক মো. ইরতিজা, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ হাবিবুল আলম, মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা মো. নূরে আলম সিদ্দিক, শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাইখা সুলতানা প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
আরএ