ঢাকা, রবিবার, ১২ মাঘ ১৪৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ২৫ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

মালয়েশিয়ায় ১০ বাংলাদেশি ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
মালয়েশিয়ায় ১০ বাংলাদেশি ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি ১০ ভুয়া চিকিৎসক গ্রেপ্তার

মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশি ১০ জন ভুয়া চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশি প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা কোতারায়ায় পরিচালিত বিশেষ অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মালয়েশিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা বারনামা জানিয়েছে, গত শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের (ফার্মেসি) সহযোগিতায় পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন সদর দপ্তরের গোয়েন্দা ও অপারেশন বিভাগসহ একাধিক পদের সমন্বয়ে একটি দল কুয়ালালামপুরের জালান তুন তান সিউ, লেবোহ, পুডুহ এবং জালান সিলাংসহ ১০টি স্থানে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গ্রেপ্তারদের মধ্যে একজনের কাছে সার্ভিস সেক্টরের অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস এবং ছয়জনের কাছে কনস্ট্রাকশন সেক্টরের অস্থায়ী ওয়ার্ক ভিজিট পাস ছিল। আরও দুজন অতিরিক্ত সময় ধরে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করছিলেন, আর অন্য একজনের কাছে কোনো বৈধ পাস পাওয়া যায়নি।

জাকারিয়া শাবানের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা বারনামা আরও জানিয়েছে, অভিযানে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের কাছ থেকে জাল চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং ওষুধ জব্দ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অভিযানকালে ৫০২ ধরনের অনিবন্ধিত ওষুধ জব্দ করেছে, যার আনুমানিক মূল্য ২ লাখ ৬৫ হাজার ১৯২ রিঙ্গিত।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, লাইসেন্সবিহীন এই বাংলাদেশি ভুয়া চিকিৎসকরা মূলত প্রবাসী রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতেন। জব্দ করা ওষুধগুলো অনিবন্ধিত এবং সেগুলো মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন।

গ্রেপ্তাররা রেস্টুরেন্ট বা খুচরা দোকানে ছদ্মবেশে বসে চিকিৎসা এবং ওষুধ বিক্রির কার্যক্রম চালাতেন। প্রতিটি গ্রাহকের কাছ থেকে ৫০ থেকে ২০০ রিঙ্গিত পর্যন্ত চার্জ নেওয়া হতো। এই অবৈধ কার্যক্রম প্রায় এক বছর ধরে চলছিল।

জাকারিয়া শাবান আরও জানান, ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫২-এর ধারা ১৩(ক), বিষ (সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস) রেগুলেশন ১৯৮৯-এর রেগুলেশন ৩(১) এবং ১৯৮৪ সালের ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস কন্ট্রোলের রেগুলেশন ৭(১)-এর অধীনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়ার জন্য পুত্রজায়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে রাখা হয়েছে। ইমিগ্রেশন আইন ১৯৫৯/৬৩ এবং ইমিগ্রেশন রেগুলেশন ১৯৬৩-এর অধীনেও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০২৫
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।