বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ মো. হাসানের মরদেহ কাঁধে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চেয়ে মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জুমার নামাজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে মিছিলটি শুরু হয়।
কফিন মিছিলে ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে?’ ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না’ ‘সাইদ, ওয়াসিম, মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ ‘খুনি হাসিনার বিচার চাই’সহ একাধিক স্লোগান দেন তারা।
জানাজা শেষে শহীদ হাসানের বাবা মো. মনির হোসেন বলেন, আমার ছেলে গত ৫ আগস্ট হারিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল, ক্লিনিক, কবরস্থান, আঞ্জুমানে মুফিদুল ইসলামসহ আমাদের পক্ষ যত জায়গায় সম্ভব হয়েছে খুঁজেছি। কিন্তু কোথাও তাকে পাইনি। পরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (ঢামেক) মর্গে যাই এবং কাপড়চোপড় দেখে ছেলেকে শনাক্ত করি। আগামীকাল শনিবার ভোলা সদরে নিজ এলাকায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে সকাল ১০ টা নাগাদ আমার ছেলেকে দাফন করা হবে।
শেখ হাসিনার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, আমি চাই আমার মতো কোনো বাবা যেন তার সন্তান না হারায়। আমি সরকারের কাছে আমার ছেলের হত্যার বিচার চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, ৬ মাস পেরিয়ে গেছে, এখনো বিপ্লবীদের রক্ত ঝরছে। অনেকে শহীদ হচ্ছে। আওয়ামী লীগকে চিরতরে নিষিদ্ধ করা হোক। আমরা সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি। কেউ যদি অন্য কিছুর দোহাই দিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে, তবে জুলাইয়ে যেমন দুই হাজার শহীদ হয়েছি, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনে আরও দুই হাজার জীবন দেব। তবুও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার লড়াই চালিয়ে যাব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫
এফএইচ/এমএম