ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ ফাল্গুন ১৪৩১, ০৪ মার্চ ২০২৫, ০৩ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

দুর্ঘটনায় নিহত ৬ নৌশ্রমিকের পরিবার পেল ৩০ লাখ টাকা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২৫
দুর্ঘটনায় নিহত ৬ নৌশ্রমিকের পরিবার পেল ৩০ লাখ টাকা

ঢাকা: চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর এম ভি আল-বাখেরা নামে সারবাহী নৌযানে সংঘটিত দুর্ঘটনায় নিহত ছয় শ্রমিকের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকার আর্থিক সহযোগিতার চেক দিয়েছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।  

মঙ্গলবার (৪ মার্চ) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিহত শ্রমিকদের প্রত্যেক পরিবারের হাতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন থেকে দুই লাখ টাকা এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টার বিশেষ উদ্যোগে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান নোয়াপাড়া গ্রুপ থেকে অনুদান হিসেবে আরও তিন লাখ টাকার চেক দেওয়া হয়।

চেক বিতরণকালে উপদেষ্টা বলেন, এম ভি আল-বাখেরা সারবাহী নৌযানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা। এটিকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। নির্মম এ হত্যাকাণ্ডে নিহত শ্রমিকের প্রত্যেক পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। মানবিক কারণেই ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকটি পরিবারকে পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে উপযুক্ত ব্যক্তিকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন।

নিহত ছয় শ্রমিক হলেন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার দাউদ হোসেনের ছেলে সজিবুল ইসলাম, একই উপজেলার মো. আনিচ মিয়ার ছেলে মো. মাজিদুল ইসলাম, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মো. আবেদ মোল্ল্যার ছেলে মো. সালাউদ্দিন মিয়া, একই উপজেলার মজিবর মুন্সীর ছেলে আমিনুর মুন্সী, ফরিদপুর সদর উপজেলার মো. আতাউর রহমানের ছেলে  শেখ সবুজ, একই উপজেলার মো. আনিসুর রহমানের ছেলে মো. কিবরিয়া।  

রমজান উপলক্ষে নৌপথে নিরাপদে পণ্য সরবরাহ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মাদার ভেসেল হতে পণ্য খালাস ও পরিবহনের ক্ষেত্রে বর্তমানে লাইটার জাহাজের কোনো সংকট নেই। কিছু আমদানিকারক কর্তৃক লাইটার জাহাজগুলোকে ভাসমান গুদাম বা ফ্লোটিং ওয়ার হাউস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন অধিদপ্তর এবং বিআইডব্লিউটিএ এর ম্যাজিস্ট্রেটরা গত মাসের ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন।

তিনি বলেন, কোথাও কোনো পণ্য মজুদ যাতে না হতে পারে সে বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী আমদানি হচ্ছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২৫
জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।