ঢাকা, রবিবার, ১৬ চৈত্র ১৪৩১, ৩০ মার্চ ২০২৫, ২৯ রমজান ১৪৪৬

জাতীয়

খাল উন্নয়ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ 

ডিভিশনাল সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৫
খাল উন্নয়ন কাজে অনিয়মের অভিযোগ  কুদালিছড়া-ডুপাবিল খান। ছবি: বাংলানিউজ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়নের কুদালিছড়া-ডুপাবিল খাল উন্নয়ন কাজে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।  

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বাস্তবায়নে ছড়ার খননকাজ শেষ হয়েছে।

লিখিত অভিযোগে জানা যায়, সারা দেশে পুকুর, খাল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কমলগঞ্জ এলজিইডির মাধ্যমে ৩৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা ব্যয়ে কুদালিছড়া-ডুপাবিল খাল উন্নয়ন কাজ শুরু হয় গত ডিসেম্বর মাসে। প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করে মেসার্স ছামী ট্রেডার্স নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। খনন কাজের এলাকায় সাইনবোর্ড টানানোর কথা থাকলেও সে ধরনের কিছু দেখা যায়নি। ঠিকাদার কোনো ধরনের নিয়মনীতি না মেনে ১ হাজার ২৫৮ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থের খাল খনন কাজটি নিজেদের মতো করে চালিয়ে যায়। এ কাজের সময় কুদালিছড়ার ওপর নির্মিত কালভার্টের মাটি সরিয়ে নেওয়ায় ব্রিজটি হুমকির মুখে পড়েছে।

নকশা অনুযায়ী ব্রিজের দুই পাশে খালে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খননের মাটি খালের পাড়ে রাখলেও অনেক স্থানে মাটি ধসে পড়েছে। খননকৃত খালের নিচে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ফুট চওড়া রয়েছে। এ ছাড়া ১০ থেকে ১২ ফুট গভীর ও ওপরের চওড়া ২০ থেকে ২৫ ফুটের বেশি হবে না। সরকারি খাল খননের যে উদ্দেশ্যে বরাদ্দ হয়েছে, সে অনুযায়ী খনন হয়নি।

সঠিকভাবে খাল খনন না হলে চাষাবাদের মৌসুমে পলিমাটি নেমে ভরাট হয়ে যাবে এবং সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা এলাকাবাসীর কোনো উপকারে আসবে না। গ্রামের মবশ্বির আলী, আব্দুল মোমিন, আব্দুল গফুর ও আব্দুল কাদির বলেন, আমাদের বিভিন্ন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে খাল খনন হলেও ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। তা ছাড়া খালের দুই পাশে রোপিত গাছগুলোও মরে গেছে। বনবিষ্ণুপুর, রূপষপুর, রামেশ্বরপুর, পালজোয়ানসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ অল্প বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয়ে পড়েন। তাই খাল খননের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের যে ব্যবস্থা সেটি কোনো কাজে আসবে না।

মেসার্স ছামী ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুস শহীদ বলেন, ‘সিডিউল মোতাবেক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এখানে কোনো অনিয়ম হয়নি। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারাও সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। যারা অভিযোগ দিয়েছেন তাদের অভিযোগ সঠিক নয়। ’

এলজিইডি কমলগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল আজম বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেলে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৭, ২০২৫
বিবিবি/আরএ                                 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।