গঙ্গা চুক্তি নবায়নের লক্ষ্যে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) কর্মকর্তারা যোগ দেবেন।
সূত্র জানায়, ঢাকার পক্ষ থেকে যৌথ নদী কমিশনের সদস্য মোহাম্মদ আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি কারিগরি দল নয়াদিল্লির বৈঠকে যোগ দেবেন। বৈঠকে মূল আলোচনা হবে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তির নবায়ন।
বাংলাদেশ-ভারত দুদেশের মধ্যে প্রতিবছর দুবার করে গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। সে অনুযায়ী চলতি বছরের মার্চে দুপক্ষের মধ্যে দিল্লিতে যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৫৪টি অভিন্ন নদী রয়েছে। গঙ্গা ছাড়া আর কোনো নদীর পানিবণ্টনের চুক্তি হয়নি। তিস্তার পানিবণ্টনের প্রশ্ন এখনো অমীমাংসিত। এর প্রধান কারণ কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অসহযোগিতা ও তার আপত্তি।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার পানিবণ্টন নিয়ে ১৯৯৬ সালে ওই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সই করেছিলেন ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবগৌড়া ও শেখ হাসিনা। চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর। আগামী বছর সেই মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। ২০২৪ সালের জুন মাসে দুদেশই ঘোষণা দেয় যে, ১৯৯৬ সালের গঙ্গা নদীর পানি চুক্তি নবায়নের জন্য আলোচনা শুরু হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে গঙ্গা নদীর চুক্তি নবায়ন ইস্যুতে দুদেশের পররাষ্ট্রসচিব আলাপ করেন। সে সময় তৎকালীন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন বলেছিলেন, আলোচনায় আন্তঃনদী বিষয়সমূহ গুরুত্ব পেয়েছে। গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তির মেয়াদ আগামী ২০২৬ সালে শেষ হয়ে যাবে। সে পরিপ্রেক্ষিতে তা নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ৬-৭ মার্চ কলকাতায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ৬ মার্চ ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পর্কিত যৌথ কমিটির ৮৬তম সভা এবং গত ৭ মার্চ কারিগরি পর্যায়ের বৈঠক হয়, যা দুদেশের মধ্যকার নিয়মিত বৈঠক। গত বছর নভেম্বরে ফারাক্কায় গঙ্গা নদীর পানিবণ্টন চুক্তি সম্পর্কিত যৌথ কমিটির ৮৫তম সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর তা কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই বৈঠকে গঙ্গার পানিবণ্টনের বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়।
টিআর/আরবি