একটি উপজেলায় শাসনব্যবস্থায় দ্বিতীয় ব্যক্তি সহকারী কমিশনার (ভূমি)। মানসিক চিন্তার উন্নয়ন ঘটাতে হবে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (এলএটিসি) নব নিযুক্ত সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) ‘৪৫ ও ৪৬’তম বেসিক ভূমি ব্যবস্থাপনা কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, জাতির এক ক্রান্তিকালে আমরা দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি। এই ক্রান্তিকালে সবাই প্রশাসনের ওপর আস্থা রেখেছিল। প্রশাসন ক্যাডার অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হয়, দিনে দিনে এই চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। নিজেদের জনবান্ধব হিসেবে তুলে ধরতে হবে। বিশেষায়িত জ্ঞান অর্জন করতে হবে। অনেক সহকারী কমিশনার জনবান্ধব সেবা দেওয়ার মাধ্যমে জাতির কাছে সুপরিচিত হয়েছে। তাদের অনুসরণ করতে হবে। অন্যথায় প্রশাসন ক্যাডারের অস্তিত্ব ভূলুণ্ঠিত হবে।
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, ভারতীয় উপমহাদেশের সিভিল সার্ভিসের একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী সার্ভিস হলো প্রশাসন সার্ভিস। এখানে মাঠ প্রশাসন তো বটেই, কেন্দ্রীয় প্রশাসনেও সবচেয়ে বেশি কাজ করার সুযোগ রয়েছে। প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের ওপর জাতির একটি বড় নির্ভরতা ও আস্থা রয়েছে, যা দেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থা পরিচালনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, এই ক্যাডার কর্মকর্তারা জনগণের সেবা, উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের প্রতি তাদের আস্থা ও নির্ভরতা প্রকাশ করে। ভবিষ্যতে সহকারী কমিশনাররা (ভূমি) কর্মক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে মাঠ প্রশাসনকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মাঠপ্রশাসন অনুবিভাগ) মোহাম্মদ মহফুজুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য দেন ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (এলএটিসি) উপ-পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) খান এ সবুর খান। সভাপতিত্ব করেন ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (এলএটিসি) পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রুমানা রহমান শম্পা।
অনুষ্ঠানের শেষভাগে ভূমি প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (এলএটিসি) পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) রুমানা রহমান শম্পা প্রধান অতিথি ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাকে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন।
জিসিজি/আরবি