ঢাকা: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে পুনর্নির্ধারণ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি।
শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ১১ দফা দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি আয়েজিত এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি নাসরিন সুলতানা একথা জানান।
নাসরিন সুলতানা বলেন, সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে পুনর্নির্ধারণ সহ ১১ দফা দাবি আদায় না হলে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার সব দায়িত্ব বর্জন ও কর্মবিরতি পালনের মতো কঠোর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
তিনি বলেন, সহকারী শিক্ষকরা ক্রমাগত বৈষ্যম্যের শিকার হচ্ছেন। এ বৈষ্যম্য না কমিয়ে বরং আরও বাড়ানো হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে বেতনের পার্থক্য ছিলো একধাপ। ২০০৬ সালে বেতন স্কেলের পার্থক্য বাড়িয়ে করা হয় দু’ধাপ।
১৯৭৩ সালে একজন প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের মধ্যে বেতনের ব্যবধান ছিলো মাত্র ১০ টাকা। কিন্তু বর্তমানে মূল বেতনের ব্যবধান ২ হাজার ৩শ টাকা করা হয়েছে। জানান নাসরিন সুলতানা।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাতেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, সহ-সভাপতি মনির হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫
এফবি/এসইউজে/এএ