গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় ডায়ারিয়ার প্রকোপ বেড়েছে। গেল তিনদিনে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত প্রায় দুইশ’ জন সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন।
এদিকে, শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে শনিবার বিকেল পর্যন্ত নতুন ১৭৬ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। এছাড়া বহির্বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন আরও ৩০ জন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্র্যাকের সহায়তায় সদর হাসপাতালের খোলা চত্বরে তাবু টাঙ্গিয়ে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী ডায়রিয়া চিকিৎসা কেন্দ্র।
এদিকে, আকস্মিকভাবে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ার কারণ নির্ণয় করতে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে।
গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালের সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী বাংলানিউজকে জানান, ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ার কারণ অনুসন্ধানে ঢাকার মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. আল মামুন মাহবুব আলমের নেতৃত্বে আট সদস্যের অনুসন্ধানী দল বিকেলে গাইবান্ধায় এসে পৌঁছেছে।
তারা হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহের পর এখন মাঠ পর্যায়ে কাজ শুরু করেছেন। দ্রুত ডায়রিয়ার প্রকৃত কারণ নির্ণয় করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
গাইবান্ধা জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি অমল কুমার দাম বাংলানিউজকে জানান, ব্র্যাকের সহযোগিতায় হাসপাতাল চত্বরে সাতদিনের জন্য ৫৯ শয্যার দু’টি অস্থায়ী ডায়রিয়া চিকিৎসা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এখানে একজন চিকিৎসকসহ ব্র্যাকের ২০ কর্মী কাজ করছেন। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ব্র্যাকের সহযোগিতা চলবে।
আধুনিক হাসপাতালের কলেরা স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রের পাশাপাশি জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে প্রদত্ত স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধপত্র দিয়ে চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে।
জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে জানান, শনিবার ডায়রিয়ায় আক্রান্তদের মধ্যে কমপক্ষে এক লাখ টাকার ১৩শ’ প্যাকেট স্যালাইন, এক হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি ও তিনশ’ ডেটল সাবান বিতরণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫
এসআই