ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত দেশের উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংস এবং শিক্ষাঙ্গনকে অশান্ত করার নীলনকশা বাস্তবায়নে নেমেছেন বলে অভিযোগ করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।
সাম্প্রতিক সময়ে অর্থমন্ত্রীর দেওয়া বিভিন্ন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, বয়স্ক অর্থমন্ত্রী দেশের উচ্চশিক্ষাকে ধ্বংস করা এবং শিক্ষাঙ্গনকে অশান্ত করার নীলনকশা বাস্তবায়নে নেমেছেন।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কোনো আলোচনায় যাবেন না উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, আমরা জেনেছি, বেতন বৈষম্য বিষয়ক যে কমিটি হয়েছে তার প্রধান হিসেবে অর্থমন্ত্রী রয়েছেন। আমরা পরিষ্কার বলতে চাই, ইতোমধ্যেই যিনি শিক্ষা ব্যবস্থা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিপক্ষ হিসেবে নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন এবং শিক্ষকদের ব্যাপারে প্রতিহিংসাপরায়ণ বক্তব্য রেখে নিজেকে বিতর্কিত করেছেন সেই ব্যক্তির নেতৃত্বাধীন কোনো কমিটি শিক্ষকদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠনের দাবি জানান ড. এএসএম মাকসুদ কামাল। এছাড়া শিক্ষকদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে আলোচনার জন্য আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পেশ করার আহ্বান জানান সরকারের প্রতি।
পূর্বঘোষিত আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ড. এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, বাস্তবমূখী ও গঠনমূলক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ঈদের পরে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষকদের সকল দাবি পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
এদিকে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী রোববার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেন দেশের ৩৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এদিন কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা হয়নি বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫
এসএ/এএসআর