বান্দরবান: বিজিবি সদস্য জুয়েল রানার মরদেহ চুয়াডাঙ্গায় পাঠানো হয়েছে। বান্দরবানের সাঙ্গু নদীতে নৌকাডুবিতে মারা যান তিনি।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপরে সেনাবাহিনীর একটি বিশেষ হেলিকপ্টারে করে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের গয়েসপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে তার মরদেহ পাঠানো হয়।
বিজিবি জানায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে জুয়েল রানার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বান্দরবান সেনানিবাসে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে, তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্মান জানানো হয়। এরপর জুয়েল রানার মরদেহ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবির বান্দরবান সেক্টর কমান্ডার কর্নেল অলিউর রহমান বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ সময় বান্দরবানের সেনাবাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নকিব আহম্মদ চৌধুরী, বিজিবির বান্দরবানের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল অলিউর রহমান, জেলা প্রশাসক মিজানুল হক চৌধুরীসহ সেনাবাহিনী ও বিজিবির কর্মকর্তা ও সৈনিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) থানচির বড়মদক থেকে মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান শেষে সেনা-বিজিবির ১৪টি নৌকা থানচি সদরে ফিরছিল। এ সময় সাঙ্গু নদীর প্রবল স্রোতে নৌকা ডুবিতে বিজিবি সদস্য জুয়েল রানা নিখোঁজ হন। এর তিনদিন পর নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫
এমজেড