ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর রেল স্টেশনের কাছে পণ্যবাহী কন্টেইনার ট্রেনের (৮০৬ ডাউন) ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় রেল লাইনেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে রেলওয়ের বিভাগীয় পরিবহন পরিদর্শক মো. মাহবুবুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কমিটি দ্রুত এর কারণ উদঘাটন করে প্রতিবেদন দেবে।
দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর, কালনী, উপকূল, চট্টলা এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে। এতে আটকে পড়া ট্রেন যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের পুরনো রেললাইনের স্থলে নতুন লাইন নির্মাণে কর্মরত শ্রমিকদের ইট-পাটকেলের আঘাতে ট্রেনের চালক আহত হওয়ার ঘটনায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রেলওয়ে থানায় কোনো মামলা হয়নি।
ট্রেনের চালক রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সবুজ সংকেত পেয়ে আশুগঞ্জ স্টেশন পার হওয়ার পর পরই লাল নিশানা দেখা যায়। কিন্তু ততক্ষণে ট্রেনটি ওই লাল নিশানার অনেক কাছে চলে আসে। লাল নিশানার পরই রেললাইন এলোমেলো ছিল। যে কারণে ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এ সময় সেখানে কর্মরত ম্যাক্স গ্রুপের শ্রমিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
তবে রেললাইন মেরামতকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. গোলাম কিবরিয়া জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট রেলপথের পুরনো
রেললাইনের স্থলে নতুন লাইন নির্মাণ করা চলছে। প্রায় দু’মাস প্রতিদিন ট্রেনের অফ টাইমে (সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত) মেরামত কাজ করা হয়। রোববার নির্ধারিত কাজ শেষ না হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের অবহিত করে লাল নিশানা উড়িয়ে কাজ করা হচ্ছিল। কিন্তু চালক তা খেয়াল না করায় দুর্ঘটনা ঘটে। তবে তিনি ঢিল ছোড়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন।
** ঢাকামুখী ট্রেন চলাচল শুরু
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৫
আরএ
