ঢাকা: রাজধানীর শাহবাগ ও চকবাজার এলাকায় দুটি ব্লাড ব্যাংককে ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা এবং ব্লাড ব্যাংক সিলগালা করেছে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
প্রতিষ্ঠান দুটি হলো, লাইফ সেভ ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্র্যান্সমিশন মেডিসিন সেন্টার এবং ক্রিয়েটিভ ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্র্যান্সমিশন মেডিসিন সেন্টার।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শাহবাগ থানাধীন ফুলবাড়িয়া আনন্দবাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-২।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন জানান, লাইফ সেভ ব্লাড ব্যাংকে অভিযান চালিয়ে ২০১৪ সালে সংরক্ষিত মেয়াদোত্তীর্ণ দূষিত রক্ত পাওয়া যায়। অত্যন্ত নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রক্ত সংরক্ষণ করে আসছিলো ব্লাড ব্যাংকটি।
প্রতিষ্ঠানটি ব্লাড ব্যাগের পুনর্ব্যবহার ও সাধারণ ফ্রিজ ব্যবহার করে রক্ত সংরক্ষণ করে আসছিলো বলেও জানান তিনি।
নিরাপদ রক্ত সঞ্চালন আইন ২০০২ এর ২৫ ধারা মোতাবেক ব্লাড ব্যাংকটির মালিক মো. আবুল বাশারকে (৪৫) দুই মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড, ব্লাড ব্যাংকের দায়িত্বে থাকা লিনাঝিনা তালুকদারকে (৩৫) দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রাজধানীর চকবাজার থানাধীন নাজিম উদ্দিন রোড এলাকায় ক্রিয়েটিভ ব্লাড ব্যাংক অ্যান্ড ট্র্যান্সমিশন মেডিসিন সেন্টারে অভিযান চালিয়ে একইরকম নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখতে পায় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের সদস্যরা।
ব্লাড ব্যাগের পুনর্ব্যবহারের অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৯ ধারা মোতাবেক ব্লাড ব্যাংকের মালিক মো. মোশায়ের হোসেনকে (২৯) ৩০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয় বলে জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
তিনি বলেন, কিছু অসাধু মুনাফা লোভী ব্যবসায়ী ম্যাচিং কিংবা স্ক্রিনিং টেস্টসহ প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই মাদকাসক্ত এবং পেশাদার রক্ত বিক্রেতাদের কাছ থেকে রক্ত সংগ্রহ করে থাকে।
প্রয়োজনের মুহূর্তে রক্তের অপ্রতুলতার কারণে এসব রক্ত কিনতে বাধ্য হচ্ছেন রোগীর আত্মীয়-স্বজনরা। ফলে এসব রক্ত রোগীর শরীরে প্রবেশের পর বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে রোগীরা।
এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব তৎপর রয়েছে বলেও জানান হেলাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
এসজেএ/এমজেএফ