পার্বতীপুর (দিনাজপুর): অবশেষে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উত্তোলন অব্যাহত রাখতে বিদেশ থেকে ৯০ কোটি টাকার ভারী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানি করা হচ্ছে।
এ লক্ষে সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর অগ্রণী ব্যাংক কাওরান বাজার শাখায় এলসি খোলা হয়েছে।
প্রথমদিনে ৮টি প্রোফর্মায় অন্তর্ভুক্ত বেশকিছু যন্ত্রপাতির জন্য এলসি খোলা হয়। মঙ্গলবার ও বুধবার আরও ২৪টি প্রোফর্মায় অন্তর্ভুক্ত যন্ত্রপাতির জন্য এলসি খোলা হবে। এতে প্রায় ৫৫ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।
এছাড়া, আগামী সপ্তাহে আরও ৪টি প্রোফর্মায় অন্তর্ভুক্ত যন্ত্রপাতি ও খুচরা যন্ত্রাংশের জন্য এলসি খোলা হবে। এ জন্য প্রয়োজন হবে আরও প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।
মোট ৩৬টি প্রোফর্মায় অন্তর্ভুক্ত দেড় শতাধিক প্রকারের ভারী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ আমদানি করতে মোট প্রায় ৯০ কোটি টাকা লাগবে বলে খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুজ্জামান এবং খনির জয়েন্ট রিভিউ কমিটির সদস্য ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির মহাব্যবস্থাপক জামিল আহমেদ রাতে বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে ভূগর্ভে নতুন স্টোপ উন্নয়নের জন্য ভারী যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ বিদেশ থেকে আমদানির করার তাগাদা দিয়ে আসছিল খনি কর্তৃপক্ষকে।
কিন্তু অর্থাভাবে সময়মত তা না আসায় বর্তমান উৎপাদনশীল স্টোপে উত্তোলনযোগ্য পাথরের মজুদ প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে আসে। এতে গত ১ আগস্ট থেকে প্রতিদিন তিন শিফটের জায়গায় দুটি শিফট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় জিটিসি। এরফলে দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি পাথর উৎপাদন হ্রাস পায় এবং সাড়ে তিনশ শ্রমিক সাময়িকভাবে বেকার হয়ে পড়েন।
এ অবস্থায় পাথর খনিকে সচল রাখতে গত ১৯ আগস্ট ১০০ কোটি টাকা (ঋণ হিসেবে) বরাদ্দ দেয় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
এসআর