ঢাকা, রবিবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

কোরবানির পশুর চাপ সামলাতে প্রস্তুত ফেরিঘাট

হাসিবুর রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
কোরবানির পশুর চাপ সামলাতে প্রস্তুত ফেরিঘাট ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: এবার ঈদুল আজহা বর্ষা মৌসুমে পড়ায় ফেরিতেই বেশির ভাগ পশু পারাপার করতে হচ্ছে। প্রবল স্রোত ও ড্রেজিংয়ের কারণে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ঘাটে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকায় পুরো চাপ পড়ছে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে।



তবে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) বলছে, পাটুরিয়া ঘাট বাড়তি চাপ সামাল দিতে প্রস্তুত রয়েছে।
 
বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, পাটুরিয়ার চারটি ফেরিঘাটে স্বাভাবিক অবস্থায় ছোট-বড় মিলিয়ে ১৮টি ফেরি চলাচল করলেও কোরবানি ঈদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে অতিরক্ত দু’টি ফেরি আনা হচ্ছে। এসব ফেরি যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি কোরবানির পশুও পারাপার করবে। প্রতিবছর সাধারণত ইঞ্জিনচালিত ট্রলার দিয়ে কোরবানির পশু পার করা হয়। তবে এ বছর নদীতে অতিরিক্ত স্রোত থাকায় ট্রলারের পরিবর্তে ফেরিতেই অধিকাংশ পশু পারাপার করা হচ্ছে।
 
বিআইডব্লিউটিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা জানিয়েছেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে সাধারণত ১০টি রোরো, পাঁচটি ইউটিলিটি ফেরি (মাঝারি) ও তিনটি কে টাইপ (ছোট) ফেরি চলাচল করে। একই সঙ্গে এবার ঈদ উপলক্ষ্যে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর ও হজরত শাহ আমানত ফেরি দু’টিও যানবাহন পারাপারের জন্য পাটুরিয়া ঘাটে ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে কাজ করবে।
 

তবে অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ভারতীয় গরু তুলনামূলক কম থাকায় চাপ কম থাকবে বলেই মনে করছেন পাটুরিয়া ঘাটে কর্মরত বিআইডব্লিউটিসি’র সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মহিউদ্দিন রাসেল। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, অন্যান্য বছর কোরবানির বেশিরভাগ পশুই ট্রলারে পার হয়। কিন্তু এ বছর নদী উত্তাল থাকায় ট্রলার চলতে পারছে না। তবে বিদেশ থেকে গরু না আসায় চাপ কম আছে। নৌযান যা আছে তা দিয়ে চাপ সামাল দেওয়া যাবে।
 
এদিকে শিমুলিয়া-কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে ড্রেজিংয়ের জন্য সাময়িকভাবে ফেরি পারাপার বন্ধ থাকলেও, রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) থেকে আংশিকভাবে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে বলে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) জানিয়েছে। একই সঙ্গে এ সপ্তাহের মধ্যেই ঘাট দিয়ে সম্পূর্ণরূপে ফেরি চলাচল শুরু হবে বলেও জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।
 
বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (ট্রাফিক) মো. শফিকুল হক বাংলানিউজকে বলেন, আরিচা ঘাটের যে অবকাঠামো রয়েছে তাতে ঈদে পরিবহন পারাপারে তেমন বেগ পেতে হবে না। এছাড়া মাওয়া প্রান্তের ড্রেজিং কাজও প্রায় শেষের দিকে। পনের-ষোল তারিখ থেকেই এই ঘাটটি পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে। আশা করছি, যাত্রীরা কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। একই সঙ্গে ঢাকায় কোরবানির পশু আনতেও তেমন ঝামেলা হবে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
এইচআর/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।