ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ শহরে পুলিশ সদস্য ওবায়দুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার তার স্ত্রী শিখা খাতুন স্বীকারোক্তি দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি বিষ মিশিয়ে ওষুধ খাইয়েছেন স্বামীকে। সে কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত র্কমকর্তা (ওসি) হাসান হাফিজুর রহমান বাংলানিউজকে শিখার স্বীকারোক্তির কথা জানান।
তিনি বলেন, ওবায়দুল ইসলাম চুয়াডাঙ্গা জেলায় র্দীঘ দিন ধরে পুলিশের দায়িত্ব পালন করেন। গত ১ আগস্ট তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন। অবসরের পর থেকে ওবায়দুল ঝিনাইদহ শহরের দক্ষিণ কালিকাপুর পাড়ায় নিজ বাসায় বসবাস করছিলেন।
ওবায়দুলের স্ত্রী শিখা খাতুনের পরকীয়া প্রেম ছিল জানিয়ে ওসি আরও বলেন, প্রতিদিনের মত হত্যাকাণ্ডের রাতেও (১২ সেপ্টেম্বর) খাবার শেষে শিখা ওষুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে ওবায়দুলকে খাইয়ে দেন। বিষক্রিয়ায় রাতেই মারা যান সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ওবায়দুল।
পরে তার মরদেহ বাড়ির প্রাচীরের পাশে ফেলে রাখা হয়। ১৩ সেপ্টেম্বর সকালে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ হত্যাকাণ্ডে শিখার সঙ্গে তার ছেলে খালিদ মাহমুদ লিংকনও গ্রেফতার রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময় ০৩৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
এইচএ/