ঢাকা, রবিবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

বগুড়ায় কোরবানির বাজারে ৭৩ হাজার ৫৫১টি পশু

বেলাল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
বগুড়ায় কোরবানির বাজারে ৭৩ হাজার ৫৫১টি পশু ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বগুড়া: ঈদুল আযহা উপলক্ষে ৭৩ হাজার ৫৫১টি পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেছেন বগুড়ার খামারিরা। প্রায় ২৬ হাজার ৩৮ জন খামারি পশুগুলিকে কোরবানির বাজারে তুলেছেন।

যদিও গেল বছর কোরবানিতে বগুড়া জেলায় ২ লাখ ৩৫ হাজার পশু জবাই হয়েছিল।

গত বছরের হিসেবে এবার ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৪৯টি পশুর ঘাটতি দেখা দেবে। বিপুল পরিমাণ এই ঘাটতি পার্শ্ববর্তী দেশ থেকে আসা পশু ও পার্শ্ববর্তী জেলার খামারির‍া মিটিয়ে থাকেন বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সেই ধারাবাহিকতায় এবারের ঈদেও বগুড়া জেলায় কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি হবে না বলেও জানান তারা।

সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মো. বজলুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে এসব তথ্য উঠে আসে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ১২টি উপজেলায় মোট ১৯ লাখ ৩৭ হাজার ২১৫টি গবাদি পশু রয়েছে। এর মধ্যে গরু ১২ লাখ ৮ হাজার ২৭৬টি, মহিষ ১৬ হাজার ৩৬৮টি, ছাগল/খাঁসি ৬ লাখ ১৪ হাজার ৮৩৬টি ও ভেড়া ৯৭ হাজার ৭৩৫টি।

এসব গবাদি পশুর মধ্য থেকে আসন্ন ঈদুল আযহার জন্য খামারিরা মোট ৭৩ হাজার ৫৫১টি পশু কোরবানির যোগ্য করে তুলেছেন। এরমধ্যে বিভিন্ন প্রজাতির গরু ৩৭ হাজার ১২২টি, মহিষ ৭২৬টি, ছাগল/খাঁসি ২৮ হাজার ৬৮৩টি ও ভেড়া ৭ হাজার ২০টি।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মো. বজলুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, বগুড়া জেলায় মোট ১ হাজার ২৬১ জন খামারি রয়েছেন। যারা সারা বছর বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির পশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে ২৬ হাজার ৩৮ জন খামারি ১-৫টি করে পশু পালন করেন, এ‍রা মৌসুমী খামারি।

কোরবানির জন্য প্রস্তুতকৃত পশুর ঘাটতি প্রসঙ্গে ওই কর্মকর্তা জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি হবে না। কারণ আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এ জেলার হাটবাজারে ব্যাপক পরিমাণ পশুর আমদানি ঘটে। এবারও এমনটাই হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।    

আব্দুল জব্বার, ইসনুছ মোল্লা, শাহজাহান আলী, আফসার আলী, আজিবরসহ একাধিক খামারি বাংলানিউজকে জানান, কোরবানির পশু পালনকারী বড়-ছোট সব খামারি এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। প্রত্যেক খামারি তাদের প্রিয় পশুটি সর্বোচ্চ দামে বিক্রি করতে শেষ মুহ‍ূর্তের পরিচর্যার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে পাশের দেশ ভারত ও মায়ানমার থেকে গরু আসায় এসব খামারিরা তাদের পশুর দাম নিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন বলেও জানান তারা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
এমবিএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।