ঢাকা: ‘অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করলেও যানজট সমস্যা সরকারকে সমালোচনার মুখে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানী বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত গোলটেবিল সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হকের উদ্যোগে ‘নগর ঢাকায় যানজট: উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন- সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বিশেষ অতিথি ছিলেন- স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মো. মশিউর রহমান রাঙ্গা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
আনিসুল হক বলেন, সারা পৃথিবী গবেষণা ও উন্নয়নে প্রচুর টাকা খরচ করে। কিন্তু যানজট সরকারের কাজগুলো সমালোচনায় বদলে দিচ্ছে। আমার দায়িত্ব হল- খুব দ্রুত কিছু করতে হবে। অন্তত ৬ মাসে বা এক বছরে যেন একটি সমাধান দিতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা ইউ-লুপ করতে ৫টি জায়গা পেয়েছি, গাজীপুরে একটিসহ মোট ৬টি জায়গা। সব জায়গা আমরা ইঞ্চি ইঞ্চি করে পর্যবেক্ষণ করেছি। কোথায় কী করলে যানজট কমবে। এছাড়া মাত্র দেড় কিলোমিটার করে রাস্তা সব জায়গায় আলাদা করে দিতে সেতুমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করেন তিনি। এরপর বাস মালিকদের কাছে আহবান জানান, নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া বাস কোথাও থামবে না-এটা নিশ্চিত করে দিন।
মেয়র বলেন, ভুল করতেও রাজি আছি, কিন্তু কিছু করতে চাই। ভুল ইচ্ছাকৃত হবে না।
তিনি বলেন, রিকশা, হকার, ফুটপাত নিয়ে কাজ করার কথা আমাদের মাথায় আছে। ফুটপাত তুলে দেওয়া মুখের কথা নয়। অনেক শক্ত হাত এর পেছনে। তবুও আমরা চেষ্টা করছি।
এর আগে সাঈদ খোকন বলেন, যানজট নিরসনের দায়িত্ব ট্রাফিক বিভাগের। তবু জনগণ যেহেতু আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন, আমাদের কাছ থেকে তারা অনেক কিছু আশা করেন। সেক্ষেত্রে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
আলোচনায় ৪ দফায় তথ্য ও ধারনা উপস্থাপন করেন যথাক্রমে বুয়েটের অধ্যাপক শামসুল হক, অধ্যাপক মোজাম্মেল হোসেন ও স্থপতি তানভীর নেওয়াজ।
এছাড়া সভায় সরকারের বিভিন্ন কার্যনির্বাহী ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধান,
বিভিন্ন স্টেক-হোল্ডার, অন্যান্য বিশেষজ্ঞ ও গবেষক, সুশীল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) খন্দকার গোলাম ফারুক সভায় দীর্ঘমেয়াদী ১৩টি সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
এর মধ্যে পরিকল্পিতভাবে রাস্তার সম্প্রসারণ ও নতুন রাস্তা তৈরী করে রাস্তার ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো, গণপরিবহণের সংখ্যা বাড়ানো ও এসবের রুট কমিয়ে পরিকল্পিত রুট পারমিট দেওয়া কানেক্টিং সড়ক বাড়ানো এবং বড় বড় হাসপাতাল,মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রধান প্রধান অফিস-আদালত রাজধানী থেকে ডি-সেন্ট্রালাইজেশন করা উল্লেখযোগ্য।
এ আলোচনায় যানজট সমস্যার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের দিকনির্দেশনা দেন আলোচকরা।
বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট, ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ, বাংলাদেশ প্ল্যানার্স ইনস্টিটিউট এ সভার সহযোগী আয়োজক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
এসকেএস/বিএস
** ‘যানজট নিরসনে একসঙ্গে কাজ করতে চাই’