ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৩০ মাঘ ১৪৩১, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

অভিযোগের সত্যতা পেলে ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৫
অভিযোগের সত্যতা পেলে ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম (ফাইল ফটো)

ঢাকা: টাঙ্গাইলে শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রমাণ ফেলে কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত আইজিপি মো. মোখলেসুর রহমান।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশ সদর দফতরে ঈদের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।



কালিহাতীর ঘটনায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করা হলেও ১ নম্বর আসামিকে ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রেফতার করা হয়নি। কালিহাতী থানার ওসি এ ঘটনার ১ নম্বর আসামির বাড়িতে ভাড়া থাকেন বলে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি স্থানীয়দের এমন দাবির বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত আইজিপি বলেন, এঘটনায় পুলিশ হেড কোয়ার্টারের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দেবেন। এতে যদি কারও গাফিলতি পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওসি যদি খাতির করে থাকেন তাহলে ওসির বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় পুলিশের ব্যর্থতা ছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশের ব্যর্থতা থাকলে তো ওই কালপিঠগুলোকে গ্রেফতার করা যেতো না। এখানে অন্য কোনো ইন্ধন থাকতে পারে। তাই এ ঘটনার পেছনে অন্য কারও ইন্ধন আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ঘটনার পর রাস্তা অবরোধ করা এবং থানার ওপর হামলা করা এটার পেছনে অন্য কারণ কাছে কি না সেটিও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান আইজিপি।  

প্রসঙ্গত, টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে পুলিশের গুলিতে তিনজন নিহতের ঘটনায় অ্যাডিশনাল ডিআইজি নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৭ পুলিশ সদস্যকে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন উপপরিদর্শক (এসআই) ও ৪ জন কনস্টেবল রয়েছেন।

ঘটনার পর শনিবার বিকেল সোয়া ৪টায় টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানায় ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি যতটুকু শুনেছি পুলিশ সদস্যরা জনগণের মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছিলেন। পুলিশ সদস্যরা প্রথমে একটি দোকানে ঢুকেছিলেন। তখন জনতা সেই দোকানে ঢুকে তাদের আক্রমণ করে। আত্মরক্ষার সবারই অধিকার রয়েছে। ’

এদিকে নারীর ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ধর্ষণের কথা শুনিনি। শ্লীলতাহানির কথা শুনেছি। আর মামলার পরই পুলিশ প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতারও করেছে। এ ছাড়া বিচার বিভাগ বলতে একটি বিষয় আছে। পুলিশ কাউকে ফাঁসি দিতে পারে না। এলাকাবাসী দোষীদের ফাঁসির বিচার চেয়ে এখন যে আন্দোলন করেছে তা অযৌক্তিক। ’

পুলিশের ওপর এলাকাবাসীর হামলার অভিযোগে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৫
এনএইচএফ/বিএস

** আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সহযোগিতা চাইলেন আইজিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।