ঢাকা: ২০৩০ সাল নাগাদ গ্রিনহাউজ গ্যাসের নিঃসরণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে শর্তহীনভাবে কমানো হবে ৫ শতাংশ।
শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘে জলবায়ু ইস্যুতে জাতীয় পরিকল্পনা পেশ করে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশই প্রথম এ পরিকল্পনা পেশ করলো।
পরিকল্পনায় জানানো হয়, ব্যবসায়ীক পর্যায়ে বর্তমানে যে খাতগুলো থেকে গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরিত হচ্ছে, সেগুলো থেকে ২০৩০ সাল নাগাদ শর্তহীনভাবে ৫ শতাংশ নিঃসরণ কমানো হবে। বাকি ১৫ শতাংশ কমানো হবে আন্তর্জাতিক সহায়তার ভিত্তিতে।
আন্তর্জাতিক সহায়তার বিষয়টিতে ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক অনুদান, বিনিয়োগ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও বিনিময়ে এই নিঃসরণ কমানো হবে।
জলবায়ু ইস্যুতে একটি দেশের নিজস্ব পরিকল্পনা ‘উদ্দীষ্ট জাতীয় অবদান নিধারণ’ বা ‘ইন্টেন্ডেড ন্যাশনালী ডেটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন (আইএনডিসি)’ বলে পরিচিত। জাতিসংঘের জলবায়ু সংক্রান্ত ‘ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন’র (ইউএনএফসিসিসি) ১৯৬টি সদস্য রাষ্ট্রের ৭৫টি এরই মধ্যে তাদের আইএনডিসি জমা দিয়েছে।
চলতি বছর ১ অক্টোবরের মধ্যে সবগুলো সদস্য রাষ্ট্রকে নিজ নিজ আইএনডিসি জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে চলতি বছর নভেম্বর-ডিসেম্বরে প্যারিসে একটি জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে এই ইস্যুতে একটি বৈশ্বিক চুক্তি সম্পাদন করা হবে।
আইএনডিসিতে বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ উল্লেখ করে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী গ্রিনহাউজ নিঃসরণের তুলনায় এদেশে এই হার দশমিক ৩৫ শতাংশ। তবে বৈশ্বিক উষ্ণতা ২ ডিগ্রি কমাতে সব দেশেরই অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এরই অংশ হিসেবে বাংলাদেশও উদ্যোগী হয়েছে।
বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি গ্রিনহাউজ গ্যাস নিঃসরণকারী অঞ্চল চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ (ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৮টি রাষ্ট্র) আইএনডিসি জমা দিয়েছে। এছাড়া সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, কানাডা, সিঙ্গাপুর, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও মেক্সিকোও আইএনডিসি জমা দিয়েছে।
নিজের আইএনডিসিতে ২০২৫ সাল নাগাদ যুক্তরাষ্ট্র ২৬-২৮ শতাংশ নিঃসরণ কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। ইইউ রাষ্ট্রগুলো ২০৩০ সাল নাগাদ এই নিঃসরণ কমিয়ে আনবে অন্তত ৪০ শতাংশ।
তবে এক্ষেত্রে উল্টো পথে হেঁটেছে চীন। দেশটি নিজের আইএনডিসিতে জানিয়েছে, ২০৩০ সাল পর্যন্ত এর নিঃসরণ আরও বাড়ানো হবে। ওই বছর থেকে চীর ২০০৫ সালের তুলনায় কার্বন নিঃমরণ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করবে ৬০-৬৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৫
আরএইচ