শেরপুর: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে স্বামীর দা'র কোপে স্ত্রী নিহত ও চার জন আহত হওয়ার ঘটনায় আহত শাশুড়ির মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
নিহত শাশুড়ি হলেন- উপজেলার পশ্চিম কাকরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা খালেদা বেগম (৪৮)।
এ ঘটনায় জড়িত জামাই ইসমাইলকে আটক করে পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
পুলিশ জানায়, প্রায় সাত বছর আগে বিলকিছ বেগমের সঙ্গে ইসমাইল হোসেনের বিয়ে হয়। তিন বছর আগে বিলকিছ বেগম ঢাকায় তৈরি পোশাক কারখানায় কাজ করতে যান। এরপর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলে আসছে।
ঈদের ছুটিতে ঢাকা থেকে ফিরে বিলকিছ স্বামীর বাড়ি না গিয়ে বাবার বাড়িতে যান। খবর পেয়ে ঈদের দিন ইসমাইল শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। ঈদের দ্বিতীয় দিন শনিবার রাতে ঘুমানোর সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া বাধে। এক পর্যায়ে স্বামী ক্ষিপ্ত হয় দা নিয়ে স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন।
এ সময় শাশুড়ি খালেদা ও মামা শ্বশুর নুরুল ইসলাম তাকে নিবৃত্ত করতে চেষ্টা করেন। এতে দায়ের কোপে তারাও গুরুতর আহত হন। চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে আসেন প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুস ও অজুফা। দায়ের কোপে তারাও আহত হন।
পরে, স্থানীয় লোকজন স্বামী ইসমাইলকে গণপিটুনি দিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ঘাতক ইসমাইলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
রাতেই আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে বিলকিস বেগমের মৃত্যু হয়। গুরুতর অবস্থায় রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় শাশুড়ি খালেদাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
আহত অপর তিনজন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নালিতাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, এ বিষয়ে নিহত গৃহবধু বিলকিছের ভাই আব্দুল খালেক বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
ঘাতক ইসমাইল হোসেনকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে বলেও জানান এসআই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
এমজেড