ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৮ মাঘ ১৪৩১, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

‘আইসিটি ও এসডিজি’ নিয়ে আর্থ ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
‘আইসিটি ও এসডিজি’ নিয়ে আর্থ ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন

ঢাকা: জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনকে সামনে রেখে নিউইয়র্কে ‘আইসিটি এবং এসডিজি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ ইনস্টিটিউট এবং এরিকসন।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পরিচালক (ডায়ালগ ও কমিউনিকেশন বিভাগ) আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।



প্রতিবেদনে ২০৩০ সাল নাগাদ জাতিসংঘ প্রণীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইসিটির ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয়েছে।

আর্থ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক জেফ্রি সাক্সের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন গবেষকের একটি দল এ প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেন। এরমধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক বিজয় মোদি এবং আর্থ ইনস্টিটিউটের ফুলব্রাইট স্কলার ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

প্রতিবেদনে দারিদ্র্য বিমোচনমুখী চারটি খাতকে চিহ্নিত করে সেগুলোর ক্ষেত্রে উন্নয়ন লক্ষ্য এ পর্যন্ত কতটুকু অর্জিত হয়েছে এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটিয়ে এ খাতগুলোতে ভবিষ্যত সম্ভাবনার বিষয়টিকে তুলে ধরা হয়।

খাতগুলো হলোÑ স্বাস্থ্য, শিক্ষা, অর্থনৈতিক সেবা এবং অবকাঠামো (বিশেষত বিদ্যুৎ শক্তি)।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সেবা প্রদানের ব্যয় হ্রাস, সেবার পরিসর বিস্তার, সীমিত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার এবং অনলাইন কমিউনিটির মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাকে সবার মাঝে দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়ার মতো বিষয়গুলোকে সহজ করে তুলতে পারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপান্তর করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুপারিশ করা হয় ওই প্রতিবেদনে।

এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-জাতিসংঘের ব্রডব্যান্ড কমিশনের মতো কোনো সংস্থার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক আইসিটি প্রতিষ্ঠানগুলো সাহায্য, পরামর্শ, অভিজ্ঞতা, অর্থ ও সরঞ্জাম সরবারাহ করে এসডিজি দ্রুত বাস্তবায়নে সরাসরি ভূমিকা রাখা, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় ব্যাপকভাবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করা, পাশাপাশি আইসিটি ক্ষেত্রে বিভিন্ন নতুন ব্যবসা সৃষ্টির দিকগুলো তুলে ধরার জন্য ব্যাপক প্রচারণা চালনো এবং আন্তর্জাতিক দাতাগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে এ সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দ্রুত ও বিশেষ তহবিল গঠন করা।

বিস্তারিত প্রতিবেদন আর্থ ইনস্টিটিউট এবং এরিকসনের প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে বলেও ওই প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
পিআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।