ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহ সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের সোহেলী গ্রামে নিজের দুশিশু সন্তানকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার কথা স্বীকার করে রোমহর্ষক বিবরণ দিয়েছেন আটক ঘাতক বাবা ওয়ালি উল্লাহ (২৫)।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে পুলিশের কাছে নিজের হাতে দুসন্তানকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন তিনি।
ঘাতক বাবার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, কোতোয়ালী মডেল থানার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুর রশিদ জানান, স্ত্রীর সঙ্গে ওয়ালি উল্লাহর প্রায় সময়েই ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। দুসন্তান নিয়ে তার স্ত্রীর শ্বশুরবাড়ি ফেলে বাবার বাড়িতে থাকার ঘটনাকে নিয়েই মূলত দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়।
আর এ ঘটনার জের ধরেই ওয়ালি উল্লাহ নিজেও একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
ট্রলি চালক ও ঘাতক বাবা ওয়ালি উল্লাহ পুলিশকে জানায়, সবাই ঘুমিয়ে গেলে প্রথমে ৬ বছরের ঐশীকে আছাড় মেরে পুকুরে ফেলে দেন। এরপর ৫ মাস বয়সী রুমানকে একইভাবে ছুঁড়ে পুকুরে ফেলে দেন।
রাত আড়াইটার দিকে পুকুর থেকে প্রথমে রুমানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর সকাল ১০টার দিকে পুকুরে জাল ফেলে ঐশীর ডুবন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনার পর সোমবার দিনগত রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ওয়ালি উল্লাহ, তার বাবা, মা ও ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে ওয়ালি উল্লাহ কোন কথা বলছিলেন না, শুধু ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন, বলেন এএসপি আব্দুর রশিদ।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের কাছে এ দুই হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেন ঘাতক বাবা ওয়ালি উল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫
জেডএম/
** ময়মনসিংহে পুকুর থেকে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার