ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

দোকান বরাদ্দে দুর্নীতি

খোকাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫
খোকাসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট

ঢাকা: দোকান নির্মাণ ও বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
 
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) দুদকের সহকারী পরিচালক শেখ আবদুস সালাম ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

এর আগে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ চার্জশিটের অনুমোদন দেয় কমিশন।

চার্জশিট দাখিলের বিষয়ে দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
 
খোকা ছাড়া আরও যাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে তারা হলেন- ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক সম্পত্তি কর্মকর্তা মহসিন উদ্দিন মোড়ল, অবসরপ্রাপ্ত সম্পত্তি কর্মকর্তা সাহাবুদ্দিন সাবু, সম্পত্তি বিভাগের কানুনগো মোহাম্মদ আলী, সার্ভেয়ার মুহাম্মদ বাচ্চু মিয়া, ফারুক হোসেন এবং মোতালেব হোসেন।
 
দাখিলকৃত চার্জশিটে তাদের বিরুদ্ধে বঙ্গবাজার ও ঢাকা ট্রেড সেন্টারের কারপার্কিংয়ের স্থানে এবং খোলা জায়গায় দোকান নির্মাণ ও বরাদ্দে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। সূত্র জানায়, সাদেক হোসেন খোকা মেয়রের দায়িত্বে থাকাকালে তার সমর্থন থাকায় পরস্পরের যোগসাজশে বেআইনিভাবে দোকান নির্মাণ ও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
 
গত বছরের ২৪ আগস্ট খোকাসহ মোট আটজনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় দুদক মামলাটি দায়ের করে। মামলার পর এক বছরের বেশি সময় তদন্ত করে দুদক চার্জশিটের সিদ্ধান্ত নেয়। এদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মশিয়ার রহমানের নাম মামলায় থাকলেও চার্জশিটে তার নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
 
দুদক সূত্র জানায়, অভিযুক্তরা ডিসিসি’র নীতিমালা লঙ্ঘন করে স্থায়ী মার্কেট দু’টির কার পার্কিং ও খোলা জায়গায় দোকান নির্মাণ করেছেন। অভিযুক্তরা পরস্পরের যোগসাজশে জালিয়াতি করে ৪৯৩টি দোকান বিভিন্ন জনের কাছে প্রতি বর্গফুট ১৫ টাকা হারে মাসিক ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়েছেন। ডিসিসি’র এস্টেট বিভাগের ২৫২৫ নাম্বার নথিতে নোটশিট পরিবর্তন করে আগের সিদ্ধান্ত বাতিল করে দু’টি মার্কেটের মোট ৪৯৩টি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সূত্র আরও জানায়, বঙ্গবাজারে অস্থায়ী বরাদ্দের মূল কপি গায়েব করে ফটোকপি সংরক্ষণ করা হয়েছে। কানুনগো মোহাম্মদ আলী দোকান বরাদ্দের নথির নোটে প্রতি বর্গফুটের ভাড়া ১০ টাকা উল্লেখ করেছিলেন। পরে তা অনুমোদন করেছিলেন সাবেক প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মশিয়ার রহমান। এরপর সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকা প্রতি বর্গফুটের ভাড়া ১৫ টাকা নির্ধারণ করেছিলেন। তারা কিসের ওপর ভিত্তি করে মাসিক ভাড়ার হার নির্ধারণ করেছেন, তার কোনো ব্যাখ্যা উল্লেখ করেননি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০১৫
এডিএ/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।