বগুড়া: ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থল ঢাকায় ফিরতে বগুড়া শহরের চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে ছিলো যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। এর মধ্যে কিছু সংখ্যক লোক বাসের টিকিটি ফেলেও অনেকে না পেয়ে উঠছেন বাসের ছাদে।
মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে এ চিত্র দেখা যায়। তবে এসব যাত্রীদের সিংগভাগই গার্মেন্টস কর্মী।
![](files/September2015/September30/Bigora_3_982346620.jpg)
জয়পুরহাট সদর উপজেলা থেকে আসা গার্মেন্টকর্মী মাহমুদা খাতুন বাংলানিউজকে জানান, অনেক আগে বাবা মারা যান। সংসারে মা আর এক ছোট বোন রয়েছে। মাথা গোঁজার সামান্য ঠাঁই ছাড়া কোনো জমিজমা নেই। মায়েরও বয়স হয়ে গেছে। এরপরও অন্যের বাসা বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে সংসারের ঘানি টেনে বেড়াচ্ছেন। তাই সংসারের অভাবে মেটাতে তিনি গার্মেন্টে চাকরি করেন।
![](files/September2015/September30/Bigora_1_719894416.jpg)
তিনি আরো বলেন, জয়পুরহাট শহর থেকে এই বাস টার্মিনাল পর্যন্ত আসতে তার প্রায় ১০০টাকা ব্যয় হয়েছে। বর্তমানে তার কাছে ৪শ টাকা রয়েছে। যা দিয়ে বাসের সিটে বসে ঢাকা যাওয়া সম্ভব নয়। তাই বেঁচে থাকার লড়াইয়ে টিকে থাকতে তাকে বাসের ছাদে চেপেই কর্মস্থলে যেতে হবে। এ যে কি কষ্ট তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন।
গার্মেন্টকর্মী নওগাঁর মান্দা উপজেলার বাসিন্দা ওমর আলী বাংলানিউজকে বলেন, প্রত্যেক ঈদে বাড়ি আসতেও বাড়তি ভাড়া গুনতে হয়। আবার কর্মস্থলে ফেরত যেতেও বাড়তি ভাড়া দিতে হয়। ঈদের মাসে চাকরি করে যে আয় হয় তার বেশির ভাগ টাকায় যাতায়াত বাবদ শেষ হয়ে যায়।
উর্মিলা খাতুন, মাকসুদা বেগম, মারুফা খাতুন, জামিল হোসেন, বেল্লাল হোসেন, আবুল কালামসহ একাধিক গার্মেন্টকর্মী ক্ষোভের সঙ্গে বাংলানিউজকে জানান, বাসের মালিকরা প্রত্যেক ঈদে ভাড়া বাড়িয়ে তাদের সর্বশান্ত করে দিচ্ছে। কিন্তু তাদের মত গরীবদের নিয়ে কেউ ভাবছে না। ভবিষ্যতে তাদের নিয়ে কেউ ভাববেন কি-না -তা নিয়েও তারা সন্দেহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০২০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
এমবিএইচ/বিএস