নওগাঁ: নওগাঁর মান্দা উপজেলার জাফরাবাদ মোল্লাপাড়া গ্রামে শাপলা খাতুন (২৪) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে শোবার ঘর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
শাপলা খাতুন জাফরাবাদ মোল্লাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হাফিজুলের স্ত্রী ও একই গ্রামের বাসিন্দা হাফেজ উদ্দিনের মেয়ে।
স্থানীয়রা জানান, সকালে কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীরা হাফিজুলের বাড়িতে গিয়ে শোবার ঘরের আঁড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি পেঁচানো শাপলার ঝুলন্ত মৃতদেহ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে দুপুরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
এদিকে নিহত শাপলা খাতুনের বাবা হাফেজ উদ্দিন অভিযোগ করে জানান, পাঁচ বছর আগে মোটা অঙ্কের যৌতুক ও সোনার গহনা দিয়ে হাফিজুলের সঙ্গে শাপলার বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন হাফিজুল। এ নিয়ে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ-বিবাদ লেগেই থাকতো। বিষয়টি নিয়ে দুই পরিবারের লোকজনের একাধিকবার বৈঠক-মিমাংসা হলেও প্রায়ই শাপলার ওপর নির্যাতন চালাতো হাফিজুল।
এরই জের ধরে মঙ্গলবার রাতে হাফিজুল নির্যাতন করে শাপলাকে হত্যার পর ঘরে মৃতদেহ ঝুলে রেখে পালিয়ে গেছেন।
এ বিষয়ে মান্দা থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শাপলার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি আরো জানান, শাপলাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে মান্দা থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান এসআই মিজান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
আরএ