ঢাকা: নিজ শ্বশুরের বিরুদ্ধে হয়রানি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটানোর অভিযোগ তুলেছেন মো. সাগর আহমেদ সোহাগ নামের এক যুবক।
রোববার (০৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এ অভিযোগ তোলেন।
নিজেকে মোটর চালক দাবি করে সোহাগ বলেন, ২০০৬ সালে ভালোবাসার সূত্র ধরে অাঁখি আক্তারকে বিয়ে করেন তিনি।
অাঁখি আক্তারের বাবা রাজধানী মুগদার বাসিন্দা আজিজুল সরদার ও মা পারভীনকে ‘কুখ্যাত মাদক সম্রাট’ আখ্যায়িত করে সোহাগ বলেন, বিয়ের অভিযোগে তারা আমাকে ও আমার মায়ের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা’ দেন।
এ মামলার কারণে আমি কারাগারে চলে যাই। দীর্ঘ শুনানি শেষে দুই বছর পর আদালত আমাকে বেকসুর খালাস দেন। এর মধ্যে অাঁখি আক্তারের পিতা-মাতা অন্যত্র তাকে বিয়ে দেন। কিন্তু জেল থেকে মুক্তি পেলে অাঁখি আমাকে নিয়ে ঘর-সংসার না করলে মরে যাবে বলে মানসিক চাপ দেয়। ফলে পুনরায় অাঁখিকে বিয়ে করি- বলেন সোহাগ।
তিনি বলেন, এরপর এক মাস না যেতেই আজিজুল-পারভীনরা র্যাবের সোর্স হায়দার ও খোকনের মাধ্যমে র্যাব প্রশাসনকে ভুল বুঝিয়ে আমার বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা অস্ত্র মামলা’ দেন। এ মামলায় ২০০৮ সালে আবার কারাগারে যাই। ৬ বছর কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পাই।
কিন্তু আজিজুল-পারভীনদের ষড়যন্ত্র বন্ধ হয়নি। ২০০৮ সালের মতো আবারও মিথ্যা মামলা দেওয়া ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন তারা। এজন্য মতিঝিল থানায় (জিডি নং-২০১৪, তাং-২৬-১১-২০০৮), সবুজবাগ থানায় (জিডি নং-১৯৫৬, তাং-৩০-০৯-২০০৯), মুগদা থানায় (জিডি নং-৬৪, তাং-০১-০৫-২০১৩ ও জিডি নং-৯৫৮, তাং-২৩-১১-২০১৩) জিডি করি।
একই সঙ্গে মাণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অফিস বরাবর ২০১৩ সালের ২৪ জুন, ডিএমপি কমিশনার বরাবর একই বছরের ৯ ডিসেম্বর ও ২০১৪ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করি। কিন্তু তারপরও আমাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফলে আমি আমার এলাকা মাণ্ডায় থাকতে পারছি না- বলেন সোহাগ।
এক প্রশ্নের উত্তরে সোহাগ বলেন, মনিষা ইসলাম নামে আমার ৬ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। বর্তমানে মেয়েটি তার মা আঁখির সঙ্গে আজিজুল সরদারের বাড়িতে রয়েছে। এখন আঁখি আমার সংসারেও আসছে না, আবার আমাকে তালাকও দিচ্ছে না।
এখন আপনি কি চান সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আজিজুল সরদারের হয়রানির হাত থেকে মুক্তি চাই। একই সঙ্গে নিজ এলাকা মাণ্ডায় বসবাস করতে চাই। কিন্তু আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে মুগদা-মাণ্ডা এলাকায় গেলে আমাকে মেরে ফেলা হবে। আমি এ অবস্থার অবসান চাই।
সোহাগ অভিযোগ করে বলেন, আজিজুল সরদার ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত একটি সক্রিয় চোর সিন্ডিকেটের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশ রেলওয়ের মূল্যবান সম্পদ, লাইন, দরজা, লোহার পেরেক, তেল ইত্যাদি চুরি করতেন। রেলওয়ের এক নিরাপত্তারক্ষী এ কর্মকাণ্ডে বাধা দিলে তাকে হত্যা করা হয়। বর্তমানে তিনি মাদক ব্যবসা করে কোটিপতির কাতারে চলে এসেছেন। মাণ্ডায় বাড়ি (হোল্ডিং-৬৯) কিনেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৫
এএসএস/এফবি/এএসআর