ঢাকা: বাঘ ও বন্যপ্রাণী পাচারকারীরা সামাজিকভাবে শক্তিশালী। এরা রাজনৈতিক প্রশ্রয় পায় বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু।
রোববার (০৪ অক্টোবর) বন অধিদফতরে ‘সুন্দরবনের বাঘ শিকার, প্রাণী ও আবাসস্থল পরিবীক্ষণ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বন সংরক্ষক মো. ইউনুছ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া’র (ডব্লিউআইআই) সিনিয়র প্রফেসর ড. ওয়াই. ভি. ঝালা, বন সংরক্ষক ড. তপন কুমার দে প্রমুখ।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু তার বক্তব্যে বলেন, পাচারকারীদের হাত অনেক শক্তিশালী হওয়ায় বাঘের চামড়া বা বন্যপ্রানী পাচার রোধ করা কঠিন হয়ে যায়।
বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সভা সেমিনারে সবাই বাঘ সংরক্ষণের কথা বলি, কিন্তু কাজের বেলায় দেখাই না। বেসরকারি সংগঠন (এনজিও) এতো কথা বলে, কই তাদেরও তো কোন কাজ দেখি না।
![Tiger_monitoring Tiger_monitoring](files/October2015/October04/Tiger_monitoring_678740099.jpg)
সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, যেভাবে বাঘের সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে, তাতে আগামী কয়েক দশকে পৃথিবী থেকে এই প্রাণী হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বতর্মানে পৃথিবীতে ৪ হাজার বাঘ রয়েছে। ১৯০০ সালে ছিলো ১ লাখ।
খাদ্য সংকট, চোরাশিকারীদের তৎপরতা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অব্যাহত থাকলে বাঘের সংখ্যা আরও হ্রাস পাবে বলে সেমিনারে আশঙ্কা প্রকাশ করেন বক্তারা। সুন্দরবনে বতর্মানে ১০৬টি বাঘ রয়েছে বলেও এসময় তারা জানান।
সেমিনার থেকে বাঘ সংরক্ষণের জন্য মনিটরিং টিম জোরদার করার পাশাপাশি টাস্কফোর্স গঠনেরও দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৫
এসএম/আরএইচ