ঢাকা, শনিবার, ২৫ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

গাজীপুরে আমনে বিএলবি আক্রমণে হতাশায় চাষিরা

রাজীব সরকার, গাজীপুর করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৫
গাজীপুরে আমনে বিএলবি আক্রমণে হতাশায় চাষিরা

গাজীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে আমন ধানে ব্যাক্টরিয়াল লিফ ব্লাইট (বিএলবি) রোগের আক্রমণ বেড়েছে। এতে চাষিদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা।



কৃষকদের অভিযোগ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত মাঠ পরিদর্শন করেন না। তাছাড়া বাহারি রঙের পোস্টার-লিফলেট ব্যবহার করে নিম্নমানের সার, কীটনাশক বাজারে বিস্তার লাভ করেছে। এসব ব্যবহার করে প্রতারিত হচ্ছেন কৃষকরা।

এ বিষয়ে রোববার (৪ অক্টোবর) শ্রীপুর উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আবদুল কুদ্দুছ ফকির জানান, শ্রীপুর উপজেলায় রাসায়নিক পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় ভেজাল সার ও কীটনাশক নিরুপণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

ধানচাষি ও শ্রীপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ ও ১টি পৌর এলাকায় ১২ হাজার ৫শ ৪০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ হাজার ৯শ পাঁচ হেক্টর জমিতে রোপা আমন উপশি জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে বিআর ১০ ও ১১, ব্রি ধান ৪২, ৪৯, রনজিত, স্বর্ণা, পায়জাম চাষ হয়েছে। ৬শ ৩৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে স্থানীয় জাতের ধান।

সম্প্রতি উপজেলার ভাংনাহাটি, শ্রীপুর, টেংরা, উজিলাবসহ বিভিন্ন অঞ্চলে আমন ধানের পাতা খয়েরি রঙ ধারণ করে ঝিমিয়ে পড়তে শুরু করেছে।

স্থানীয় কৃষক মো. মহিউদ্দিন বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে লক্ষ্য করছি, ধানের পাতা শুকিয়ে খড় হয়ে যাচ্ছে। বাজার থেকে সার-কীটনাশক কিনে আনা হয় কিন্তু সেগুলো ভেজাল কিনা বুঝতে পারি না। এসব সার-কীটনাশক অনেক সময় কাজ করে না। ধানের বালাই দূর করতে না পারলে আমরা অনেক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবো।

কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা আবু সাঈদ জানান, বিএলবি রোগের প্রকোপ এসময় দেখা দেয়। ঝড় বৃষ্টিতে ধানের পাতায় ক্ষতের সৃষ্টি হলেই ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে।

সম্প্রতি আইপিএম’র মাঠ গবেষণায় দেখা গেছে, ধান গাছের ৫০ শতাংশ পাতা নষ্ট হলে ফসল উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়ে না। বিএলবি আক্রান্ত খেতে বেকট্রল জাতীয় ওষুধ পরিমিত মাত্রায় প্রয়োগ করলে সুফল পাওয়া যায়।

শ্রীপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এএসএম মাইদুল হাসান জানান, শ্রীপুর উপজেলায় আমন ধানখেতে বিএলবি আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এর সঠিক পরিসংখ্যান নেই। কিছু কিছু অঞ্চলে এ রোগের সন্ধান পাওয়া গেছে।

প্রতিটি ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের (এসএএও) মাধ্যমে টিম গঠন করে, মাঠ পর্যায়ে ধানের রোগ-বালাইয়ের খোঁজ নিয়ে কৃষকদের বালাইনাশক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তবে যথাযথ ব্যবস্থা নিলে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব বলে তিনি দাবি করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৫
এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।