ঢাকা: কুকুরের মুখ থেকে রক্ষা পাওয়া সেই শিশুটি সুস্থ হয়ে উঠেছে। ঢামেক চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে সুস্থ হয়েছে সে।
রোববার( ১১ অক্টোবর) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) প্রশাসনিক ব্লকের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ঢামেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় ঝোপ ঝাড়ের মধ্যে নবজাতক শিশুটিকে ঘিরে ছিল কয়েকটি কুকুর। বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় কয়েকজন নারীর। তারা ওই নবজাতককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে আসেন। এর আগেই শিশুটির ঠোঁট, নাক ও দুটি আঙুলের আংশিক কুকুরে খেয়ে ফেলে।
সেই শিশুটি এখন সুস্থ। তার বয়স ২৭ দিন। আমরা তার নাম রেখেছি ফাইজা। ফাইজা অর্থ বিজয়। সে মৃত্যুকে জয় করেছে।
ঢামেক পরিচালক বলেন, ঢামেকে আনার পর মেডিকেল বোর্ড গঠন করে তার চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এই শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে কয়েকজন যোগাযোগ করেছে। তবে, তাকে নিতে হলে আদালতের নির্দেশনার মাধ্যমে নিতে হবে। শিশুটি আপাতত সরকারের দায়িত্বে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ৩ মাস পর শিশুটির শরীরের ক্ষত স্থানে প্লাস্টিক সার্জারি করা হবে।
শিশুটির চিকিৎসায় গঠিত বোর্ড প্রধান ঢামেক নবজাতক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর আবিদ হোসেন মোল্লা বলেন, শিশুটির শরীর কিছু অংশ কুকুরে খাওয়া ছিল। প্রথম রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। রক্ত বন্ধের পর আশঙ্কা ছিল ইনফেকশন, জলাতঙ্ক রোগের।
তিনি বলেন, আমরা বোর্ডের সদস্যরা সারাদিন শিশুটি চিকিৎসার ব্যাপারে আলোচনা করতাম। অন্যান্যরাও সহযোগিতা করেছে আমাদের। আজ শিশুটি সুস্থ। আমাদের বড় আনন্দের দিন আজ।
আবিদ হোসেন বলেন, আমরা যেদিন শিশুটিকে পাই, সেদিন শিশুটি ২৫শ গ্রাম ছিল। এখন ২ হাজার ৭শ ১০ গ্রাম হয়েছে। এখন শিশুটির ক্ষুধা লাগলে কাঁদে। ফিডারে দুধ পান করে।
এ সময় শিশুটিকে ঢামেকের সমাজ কল্যাণের উপ তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সেলিনা আক্তার বলেন, সমাজ কল্যাণের তত্ত্বাবধানে আজিমপুরে অবস্থিত ছোটমনি নিবাসে শিশুটিকে নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৫
এজেডএস/পিসি
** কুকুরের কবলে নবজাতক...
** আবর্জনায় পড়ে থাকা নবজাতক উদ্ধার