ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, আমরা যেটাই আবিষ্কার, উদ্ভাবন বা বাজারজাত করি না কেন, তা যেন অবশ্যই কৃষক বান্ধব হয়। কেননা কৃষকদের জন্যেই এসব তৈরি করা হয়।
রোববার( ১১ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে দিনব্যাপী ‘দেশীয় উপযোগী কৃষি যন্ত্র উদ্ভাবন, প্রস্তুতকরণ ও স্থানীয় উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে করণীয় শীর্ষক’ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায় এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, কৃষকদের পছন্দ ও চাহিদা অনুযায়ী যন্ত্রপাতি, বীজসহ বিভিন্ন কৃষি উপকরণ তৈরি এবং বাজারজাত করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রী বলেন, কৃষির অন্যতম প্রধান সহায়ক হিসেবে নদীর গুরুত্ব আমাদের কাছে সবসময়ই বেশি। কিন্তু দখলসহ বিভিন্ন ভাবে নদীকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে। নদী পথও অনেক সম্ভাবনাময় ছিল।
![](files/October2015/October11/barc1_509677563.jpg)
সবজি, ফল, ধান, গম, ভুট্টা, তেল জাতীয় ফসল ও পাটের ওপর গুরুত্বারোপ করেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। এসময় তিনি কৃষির ধারাবাহিক উন্নতির কথা তুলে ধরেন।
মতিয়া চৌধুরী কৃষি যন্ত্রের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, দিনদিন কৃষি কাজে শ্রমিকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। কিন্তু উৎপাদন ঠিকই বাড়ছে। আধুনিকরণ যন্ত্রপাতি ব্যবহারসহ যুগপোযোগী নানা পদক্ষেপের কারণেই কিন্তু এসব সফলতা পাওয়া সম্ভব হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব শ্যামল কান্তি ঘোষ, বিএআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্প পরিচালক শেখ মো. নাজিম উদ্দিন। এছাড়া বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী নোট উপস্থাপন করা হয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৫
একে/পিসি