ঢাকা: গত সেপ্টেম্বর মাসে হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৫০ কোটি টাকা মূল্যের কোকেন নিয়ে গ্রেফতার হওয়া পেরু নাগরিক জেইম বার্গলে গোমেজসহ সিভিল এভিয়েশনের দুই কর্মচারীকে অন্তর্ভূক্ত করে নভেম্বরের মধ্যেই চার্জশিট দেবে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
বাংলানিউজকে এমন তথ্য জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ডিডি) মুকুল জ্যোতি চাকমা।
তিনি জানান, ২ কেজি ৩’শ গ্রাম কোকেনসহ গ্রেফতারকৃত পেরুর নাগরিক ও সিভিল এভিয়েশনের দুই কর্মচারী সালাউদ্দিন এবং আব্দুস সালামকে আসামি করে চলতি মাসেই (নভেম্বরে) আদালতে চার্জশিট দেওয়া হবে। এই মামলার চার্জশিট প্রস্তুতির শেষের দিকে রয়েছে। এর আগে গ্রেফতার হওয়া পেরুর নাগরিক দোভাষীর মাধ্যমে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। তিনি ও অন্য দুই আসামি বর্তমানে আদালতের নির্দেশে কারাগারে রয়েছে। চার্জশিট প্রদানের পর রিপোর্টের প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান মুকুল জ্যোতি চাকমা।
তিনি জানান, শাহজালাল বিমানবন্দরে গ্রেফতারকৃত এই পেরুর নাগরিক আন্তর্জাতিক কোকেন পাচারকারী চক্রের সদস্য। সে আগে নিজ দেশ পেরুতে ট্যাক্সি চালাতো। পরে প্রলোভনে পড়ে মার্কো নামের এক যাত্রীর প্রস্তাবে এই ব্যবসায় জড়ায়। মার্কো আন্তর্জাতিক কোকেন পাচারকারী চক্রের অন্যতম সদস্য। তার বিষয়ে এখনো খোঁজ খবর নিচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
গত ১ সেপ্টেম্বর শাহজালালে পেরুর নাগরিক গোমেজের কাছে থাকা ট্রলি ব্যাগের ভিতর থেকে কোকেন উদ্ধার করা হয়। যেগুলোর আনুমানিক মূল ৫০ কোটি টাকা। দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮২ ফ্লাইটে বাংলাদেশে আসেন গোমেজ। তাৎক্ষণিকভাবে গোমেজ ও তাকে সহায়তাকারী দুই বাংলাদেশি সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারী সালাউদ্দিন (৪০) এবং আব্দুস সালামকে (৩৯) গ্রেফতার করা হয়।
বিমানবন্দরের সিসি ক্যামেরায় বাংলাদেশি দুই নাগরিক জড়িত থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে জানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
পরে এই ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় মামলা (মামলা নম্বর-০৩) দায়ের করে। মামলাটি তদন্ত করছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তেজগাঁও সার্কেলের ইন্সপেক্টর মোফাজ্জল হোসেন।
** ট্যাক্সি ড্রাইভার থেকে আন্তর্জাতিক কোকেন পাচারকারী!
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫
এনএইচএফ/আরআই