ঢাকা: রাজধানীতে পুলিশের তল্লাশি চৌকি বৃদ্ধি ও পুলিশ সদস্যরা এলার্ট (সতর্ক) থাকার কারণেই মঙ্গলবার কচুক্ষেতে মিলিটারি পুলিশ সদস্যের ওপর হামলাকারীকে ধরা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে ডিএমপি সদরদপ্তরে পুলিশের গাড়ি প্রদান উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, দেশে একটা চিহ্নিত গোষ্ঠীর বিচার কাজ চলছে, মূলত তাদের অনুসারীরাই এ ধরনের হামলা চালাচ্ছে বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। তাদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। কারা এদের অর্থদাতা, কারা মদদদাতা তা বের করার চেষ্টাও করা হচ্ছে। তদন্তে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, কিছুদিন আগে গাবতলীতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে পুলিশের এএসআই ইব্রাহীম নিহত হয়। একইভাবে আশুলিয়ায় পুলিশের ওপর হামলায় শিল্প পুলিশ সদস্য মুকুল নিহত হয়। মঙ্গলবার সকালেও একই কায়দায় কাফরুলের কচুক্ষেত এলাকায় মিলিটারি পুলিশ সদস্য সামিদুলকে কুপিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘পুলিশ মনে করছে, এই হামলার যথেষ্ট কারণ আছে। একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী যারা নিকট অতীতে মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে, আন্দোলনের নামে যারা জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করেছে, কচি শিশুদের পুড়িয়ে মেরেছে, নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করেছে, আজকে তারাই আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা করছে। এর মাধ্যমে তারা দেশে নৈরাজ্যকর ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই আমাদের চেকপোস্ট ও তল্লাশি চৌকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। মোবাইল পেট্রোল, মোটরবাইক পেট্রোল টিমগুলোকে শক্তিশালী করা হয়েছে।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, নাশকতাকারীদের দমনের জন্য তথ্যানুসন্ধান চলছে। যারা এ রকম করছেন তাদের কঠোরভাবে দমন করা হবে। পুলিশকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের অস্ত্র ও গোলাবারুদ মজুদ রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা তা ব্যবহার করতে পারবে।
তবে কেউ যদি পরিকল্পিতভাবে পুলিশকে আঘাত করতে চায়, সেটা শতভাগ নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫
এনএইচএফ/আরআই