ঢাকা: দাবি আদায় না করে রাস্তা ছাড়বেন না বলে স্লোগান দিচ্ছেন নীলক্ষেত কর্মজীবি মহিলা হোস্টেলের বাসিন্দারা। বর্ধিত ভাড়া বাতিলের ওয়াদা নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির কাছ থেকেই পেতে চান তারা।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে তারা রাস্তায় নামেন। রাত ১২টার দিকে হোস্টেল সুপার লিখিত আশ্বাস দেন, কিন্তু আন্দোলনরত নারীরা সেটি প্রত্যাখ্যান করেন।
এরপর ফোনে সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে তিনি পরদিন (১১ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টার পরে বিষয়টি বিবেচনায় সাক্ষাতের কথা বলেন। সে প্রস্তাবও নাকচ করে দেন আন্দোরনকারীরা।
তাদের চাওয়া, প্রতিমন্ত্রীর ওয়াদা, তা নাহলে রাস্তা ছাড়বেন না। রাতেই চান এ ওয়াদা।
তাদের আশঙ্কা, একবার রাস্তা ছাড়লে তাদের আন্দোলন বৃথা হবে, পরে কেউ দাবি মানবে না।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সোনিয়া ফাতেমা বাংলানিউজকে বলেন, '৩ বছর ধরে আছি এখানে। সিঙ্গেল সিটে ভাড়া দিচ্ছিলাম ১৪শ টাকা, এবার বাড়িয়ে সেটি ৩ হাজার করা হচ্ছে। '
'২৯ অক্টোবর হঠাৎ নোটিস দিল, আমরা আপত্তি তোলায় আশ্বাস দিয়ে সময় চাইলো ১০ নভেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু এখনো তারা নতুন ভাড়াই বহাল রেখেছেন। এদিকে জরিমানার ভয়, আবার টোকেন না দিলে খাবার দেবে না বলছে'- বলেন তিনি।
সোনিয়া ফাতেমা জানান, প্রায় ৫৩৫ জন নারী এ হোস্টেলে থাকেন।
অপর আন্দোলনকারী সোনিয়া বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু পালন করছেন না তারা। উল্টো চাপ দিচ্ছেন নতুন ভাড়া ও খাবারের টোকেন নিতে। এক বছর ধরে আছি ২ জনের রুমে ১১শ টাকা মাসে মাসে দিয়ে। এখন সেটা বাড়িয়ে ২ হাজার করা হয়েছে। '
'প্রতিমন্ত্রী বা অতিরিক্ত সচিব দিলরুবা শাহনাজ আমাদের দাবি মেনে ডকুমেন্ট না দিলে রাস্তা ছাড়বো না'- বাংলানিউজকে বলেন আন্দোলনরত নারী সুলতানা ইয়াসমিন মৌসুমী।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৫
এসকেএস/বিএস
** বর্ধিত সিট ভাড়া বাতিলের দাবিতে রাস্তায় কর্মজীবী নারীরা