ঢাকা: বাড়ির ছাদে বিলবোর্ড রেখে বাড়িওয়ালাদের নিশ্চিন্ত ঘুমের দিন ফুরোলো। বিলম্ব না করেই এমন বাড়িওয়ালার নামে মামলা ঠুকে দিচ্ছে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) রাতে গুলশান এলাকায় বিলবোর্ড অপসারণ-উচ্ছেদে ব্যস্ত ডিসিসি (উত্তর) কর্মকর্তারা। মামলার তথ্য তাদের কাছেই পাওয়া গেল।
ডিএনসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন বীপন কুমার সাহা বাংলানিউজের সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘বাড়িওয়ালারা এখনো নিজেদের বিপদ বিশ্বাস করছেন না।
আজও (১০ নভেম্বর) গুলশান এলাকায় ৬ বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছি আমরা। এভাবে প্রতি সপ্তাহে ১০/১৫টি করে মামলা দেওয়া হবে। বারবার সাবধান করার পরও তারা কেন জানি না, গা করেন নি। ’
তিনি বলেন, ‘এটি দণ্ডনীয় অপরাধ। আমরা বারবার বলেছি। জরিমানা হবে, অনাদায়ে জেল হবে, এমনিতেও জেল হবে- বলেছি বারবার। আমি এখনো্ অনুরোধ করবো, বাড়ির ছাদ বা অন্য অংশে বিলবোর্ড থাকলে সেগুলো সরিয়ে নিন। মামলা দিতে বাধ্য করবেন না। ’
বৈধ-অবৈধ সব বিলবোর্ডই নামাতে বারবার সুযোগ দেওয়ার পরও যারা সে সুযোগ কাজে লাগাননি, তারা ভুল করেছেন বলে মন্তব্য এ কর্মকর্তার।
তিনি জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকা হবে বিলবোর্ডমুক্ত শহর। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম দিনে নতুন ঢাকা পাওয়া যাবে।
বীপন কুমার বলেন, প্রথমে ঢাকার বিলবোর্ড জিরো করা হবে। এরপর নতুন করে কিছু বিলবোর্ড লাগানো হবে। কিন্তু কোথায়, কয়টি করে বিলবোর্ড দেওয়া যাবে, সে বিষয়ে নীতিমালা তৈরী হবে ও সেটি মানা হবে।
নীতিমালা তৈরী করতে নতুন একটি কমিটির কথাও জানান তিনি। ডিএনসিসি, বুয়েট, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধিসহ কয়েকজনকে নিয়ে কমিটি সাজানো হযেছে। তাদের দেওয়া নীতিমালা দেখে ঢাকাকে নতুন করে সাজানো হবে বলে জানান বীপন।
ডিএনসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান শরীফ বাংলানিউজকে বলেন, এখন আমরা বিলবোর্ড নামিয়ে ফেলছি। যারা নিজ উদ্যোগে ফেলছেন, তারা অন্যান্য উপকরণ নিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু যাদের বিলবোর্ড আমরা সরাবো, তার আর কোনো অংশই তারা দাবি করতে পারবেন না।
এমন অভিযান রাতে শুরু হয়ে ভোরে শেষ হওয়ার কথাও জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৫
এসকেএস/বিএস
** গুলশানে চলছে বিলবোর্ড উচ্ছেদ অভিযান