ঢাকা: ‘চারা না গজালে ক্ষতিপূরণ’ ফসলের বীজের প্যাকেটে এমন অঙ্গীকারনামা লেখার দাবি জানিয়েছেন কৃষি ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং চ্যানেল আইয়ের বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ।
বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের কৃষি প্রশ্ন : কৃষকের প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান।
শাইখ সিরাজ বলেন, ফসলের বীজের প্যাকেটে অঙ্গীকারনামা থাকতে হবে। বীজ থেকে চারা না গজালে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য থাকতে হবে।
তিনি বলেন, কৃষিখাত কীভাবে এগুচ্ছে তা আমি ৩০ বছর ধরে দেখছি। বিশ্ব চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে ষাটের দশকে গ্রিন রেভ্যুলেশন ঘটে। আর সেটার মাধ্যমেই খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।
সনাতন পদ্ধতির বীজের অপেক্ষায় থাকলে চলবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, ফসল উৎপাদন আরও বাড়াতে হবে। আমাদের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানিরা দেশিয় প্রজাতি নিয়ে গবেষণা করে ধানের উৎপাদন বাড়িয়েছেন। এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশে উৎপাদন বেড়েছে। কৃষিতে বিপ্লব ঘটেছে। দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। উৎপাদিত বাড়তি চাল বিদেশে রপ্তানি করে আমরা দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছি। আনছি বৈদেশিক মুদ্রা। দেশের সবাই এখন পেটভরে দু’বেলা খেতে পারছেন।
শাইখ সিরাজ বলেন, কৃষি বলতে এখন আর শুধু ধান-পাট চাষ নয়। চাষাবাদ থেকে কী করে বেশি টাকা আয় করা যায়, কৃষকরা এখন সেই চেষ্টা করছে। তারা এখন শাক-সবজি, ফল-মূল ও মাছ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে। তারা আর্থিকভাবে সাবলম্বী হয়ে উঠছে।
তিনি বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের বাঁচাতে হলে রাষ্ট্রের ভূমিকা নিতে হবে। যেমন কিছু জেলে আছেন যারা শুধু ইলিশ মাছ শিকার করেন। ইলিশ শিকার নিষিদ্ধের তিন মাস যেমন সরকার তাদের খাদ্য সহায়তা দিয়ে থাকে, তেমনি প্রান্তিক কৃষকদেরও সাহায্য দিতে হবে।
রিসার্চ ইনেসিয়েটিভ, বাংলাদেশ (রিইবি) আয়োজিত ও জামার্নির রোসা ল্যুক্সেমবার্গ স্টিফটুংয়ের সহযোগিতায় সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন রিইবি চেয়ারম্যান ড. শামসুল বারি।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিইবি’র প্রকল্প পরিচালক সুরাইয়া বেগম। বক্তব্য রাখেন- কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক রেজা, কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কৃষিভিত্তিক একটি নাটক পরিবেশিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫/আপডেট: ১৭৫৮ ঘণ্টা
এসএস/টিআই/আরএম