ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

খুলনার আলীম জুট মিল শ্রমিকদের প্রতিবাদ সমাবেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
খুলনার আলীম জুট মিল শ্রমিকদের প্রতিবাদ সমাবেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: খুলনার আটরা শিল্পাঞ্চলের রাষ্ট্রায়ত্ব আলীম জুট মিলের শ্রমিকরা প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন।

মিলটিকে ব্যক্তিমালিকানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়া বন্ধ, পাট ক্রয় করে মিলের উৎপাদন চালু, বকেয়া মজুরি বেতন প্রদানসহ বেশ কয়েকটি দাবিতে শ্রমিকরা এ প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।



পূর্ব ঘোষিত ১০ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসাবে মিলের ১ নং গেটে মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে মিল রক্ষা কমিটির উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন মিল রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুর রশিদ।

সমাবেশে নেতারা বলেন, ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে কথিত ভুয়া মালিকের কাগজপত্র বাতিল করে মিলের উৎপাদন চালু ও মজুরি, বেতন প্রদান করা না হলে লাগাতার রাজপথ-রেলপথ অবরোধসহ আন্দোলনের কঠিন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

তারা আরও বলেন, মিলের উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে এবং সরকার কর্তৃক ভর্তুকির টাকা পেয়ে সম্প্রতি মিলের শ্রমিক-কর্মচারী, কর্মকর্তাদের আংশিক টাকা পরিশোধ ও বিদ্যুৎ বিলের আংশিক পরিশোধ করায় কথিত মালিক জগলুল মাহমুদ মিলের ৩ কর্মকর্তার নামে অর্থ আত্মসাতের মামলা করেছেন। অনতিবিলম্বে ওই মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান তারা।

সমাবেশে জানানো হয়, বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা মিলের সামনে আটরা শিল্পাঞ্চলের খুলনা-যশোর মহাসড়কে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।

সভায় বক্তব্য রাখেন আলিম জুট মিলস সিবিএ সভাপতি আব্দুস সালাম জমাদ্দার, সাবেক সিবিএ সভাপতি মো. সাইফুল লিঠু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ সরদার, শ্রমিক নেতা মো. আমিনুল ইসলাম, শেখ জাকারিয়া, মো. বাবুল রেজা, রেদোয়ান হোসেন বাহারসহ সিবিএ নন সিবিএ নেতারা।

১৯৬৮ সালের ১ জুলাই খুলনার আটরা শিল্প এলাকায় মেসার্স আলীম জুট মিলস লিমিটেড শিল্প প্রতিষ্ঠানটি ব্যক্তি মালিকানায় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতির আদেশ বলে (পি ও ২৭) মিলটি রাষ্ট্রায়ত্ব করা হয় এবং বিজেএমসি’র নিয়ন্ত্রণাধীন মিল হিসেবে এখন পর্যন্ত পরিচালিত হয়ে আসছে।

১৯৮২ সালে তৎকালীন সরকার প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ঘোষণা করে, ৩০টি জুট মিল বাংলাদেশি মালিক, যাদের শেয়ার ৫১ শতাংশ রয়েছে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী ২৯টি মিল হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু মেসার্স আলীম গং৪১ দশমিক ৬০ শতাংশের বেশি শেয়ার দেখাতে পারেনি বিধায় মিলটি গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়। সেই থেকে আজ পর্যন্ত মিলটি বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৩ ঘণ্টা,  ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।