গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরে নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশের ইট ও মাটির স্তুপের নীচে চাপা পড়ে নিহত তিনজনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। নিহতদের বাড়িতে এখনো চলছে শোকের মাতম।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের মন্দুয়ার গ্রামের আবিসান মিয়ার ছেলে আব্দুল কুদ্দুস ও দুপুরে একই ইউনিয়নের জয়েনপুর গ্রামের মজিবর রহমান মোল্লার ছেলে আব্দুস ছাত্তার ও তালুক মন্দুয়ার গ্রামের নুর আলম মুন্সির মেয়ে কাকুলীর মৃতদেহ দাফন করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই নিহত তিনজনের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তাদের স্বজনদের আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। এভাবে একসঙ্গে তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি মানতে পারছেনা কেউই।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি-অব্যবস্থাপনার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্রিজ নির্মাণে নিয়োজিত ঠিকাদার খায়রুল ইসলাম রানার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তাদের।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আব্দুস সামাদ বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনা তদন্তে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) শফিকুল ইসলামকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়ছে। এছাড়া নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে একলাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
সাদুল্যাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ-আল-মামুন তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. ইউনুস আলী সরকারের পক্ষ থেকে নিহত তিন জনের দাফন-কাফনের প্রত্যেক পরিবারকে ১০ হাজার ও আহতদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে গাইবান্ধা-সাদুল্যাপুর সড়কের নঙ্গেরশ্বর ব্রিজ এলাকায় ইট-মাটি চাপায় ৩ জনের মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, নির্মাণাধীন নঙ্গেরশ্বর ব্রিজের পাশে ইট ও মাটি স্তুপ করে রাখা ছিল। রাতে স্থানীয় কিছু লোকজন ওই স্তুপ থেকে ইটের ভাঙা অংশ নিতে যায়। এসময় উপর থেকে ইট-মাটির স্তুপ ধ্বসে নীচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই ওই ৩ ব্যক্তি মারা যান।
এ ঘটনায় আহত আরফি মিয়া (১৫), সেলিনা বেগম (৪০) ও ফুল মিয়া (৫০) ও সোহেল (৩০) সাদুল্যাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মিনারা বেগম (২৫) গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৫
এসএইচ