ঢাকা: ঘোষিত ৮ম পে-স্কেলে ক্যাডার ও নন ক্যাডার কর্মকর্তাদের গ্রেড বৈষম্য দূর না হলে আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন নন-ক্যাডার কর্মকর্তারা।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেওয়া হয়।
নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ সম্মিলিত সরকারি কর্মকর্তা পরিষদ (বাসসকপ) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
একই সঙ্গে গ্রেড, বেতন বৈষম্যসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে ২৪ ডিসেম্বর থেকে লাগাতার আন্দোলনেরও হুমকি দেওয়া হয়েছে।
দাবির মধ্যে রয়েছে, ক্যাডার-নন ক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য চাকরির প্রারম্ভিক বেতন অভিন্ন ৮ম গ্রেড, সর্বস্তরে সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল প্রথা পূর্বের ন্যায় বহাল, নির্ধারিত সময়ে ক্যাডার কর্মকর্তাদের ন্যায় নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত, ১ম শ্রেণির চাকরির ৪ বছর পূর্তিতে ৭ম গ্রেড, ৫ (পাঁচ) বছর পূর্তিতে সিনিয়র স্কেল (৬ষ্ঠ গ্রেড), ১০ (দশ) বছর পূর্তিতে উচ্চতর স্কেল (৫ম গ্রেড) প্রদান এবং ১৫ বছর পূর্তিতে ৪র্থ গ্রেড প্রদানসহ পুরো চাকরি জীবনে কমপক্ষে ৪টি বেতন ধাপ পরিবর্তনের সুযোগ রাখা, ২য় শ্রেণির কর্মকর্তাদের ৭ম বেতন কাঠামোর ন্যায় ৩টি টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেড বহাল রাখাসহ পুরো চাকরি জীবনে কমপক্ষে ৪টি বেতন ধাপ পরিবর্তনের সুযোগ ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি মো. শফিউল আজম লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
তিনি বলেন, আগে থেকে চলে আসা বেতন ও সার্ভিস বৈষম্য ৮ম পে-স্কেলের মাধ্যমে ক্যাডার-ননক্যাডার কমর্কতাদের মধ্যে আরও সুস্পষ্ট ও প্রকট করা হয়েছে। ফলে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ কমর্কতা চরম হতাশায় পড়েছেন। স্থবির হয়ে আসছে কার্যক্রম। এখন প্রধানমন্ত্রীই এর সমাধান করতে পারেন।
তিনি বলেন, একই যোগ্যতা ও পিএসসির মাধ্যমে এসব কর্মকর্তা নিয়োগ পান। শুধুমাত্র নন ক্যাডার হওয়ার অপরাধে পে-স্কেলে আজ এ বৈষম্য।
তিনি আরো বলেন, নন ক্যাডার কর্মকর্তারা ৩০-৩২ বছর একই পদে চাকরি করেও কোনো পদোন্নতি পান না। বেতন স্কেলেও হয়নি কোনো পরিবর্তন।
সরকার ঘোষিত ৮ম পে-স্কেলে এর সমাধান না করে উল্টো একই বেতন স্কেলে চাকরি শেষ করে অবসরে যেতে বাধ্য হবেন এসব কর্মকর্তারা।
ঘোষিত ৮ম পে-স্কেলে অনুচ্ছদ ১২ অনুযায়ী, ক্যাডার কর্মকর্তা ৮ম গ্রেড ও নন-ক্যাডার কর্মকর্তা যোগদানে ৯ম গ্রেডের সিদ্ধান্ত বাতিল করে ক্যাডার-ননক্যাডার কর্মকর্তাদের জন্য চাকরির প্রারম্ভিক বেতন অভিন্ন ৮ম গ্রেড করা, ১ম ও ২য় শ্রেণির নন-ক্যাডার কর্মকর্তাদের সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেল বহাল রাখাসহ ক্যাডার-ননক্যাডার কর্মকর্তাদের মধ্যে বিদ্যমান বেতন ও চাকরি সংক্রান্ত বৈষম্য দূরসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
দাবি আদায় না হলে, আগামী ২৪ থেকে ৩০ ডিসেম্বর তারিখ পর্যন্ত কালো ব্যাচ ধারণ করা হবে। একই সঙ্গে ২৭ থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ ঘণ্টা করে (সকাল ১১-১২টা) কর্মবিরতি পালন এবং ৩১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। এরমধ্যে দাবি না মানা হলে ৯ জানুয়ারি ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
আরইউ/জেডএস