ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: পলিথিনের ব্যবহার পুরোপুরি নিষিদ্ধ থাকার পরও কেবল রাজধানী ঢাকাতেই দৈনিক ব্যবহৃত হচ্ছে ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন। সারাদেশে তা ছড়িয়ে পড়ছে মহামারি আকারে।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের সামনে ‘পলিথিন নিষিদ্ধের আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করো’-এই দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫’র (২০০২ সালের ৯নং আইন দ্বারা সংশোধিত) ৬-ক ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার সব পলিথিন ব্যাগ বা এরূপ সামগ্রীর ব্যবহার সম্পূর্ণরুপে নিষিদ্ধ করেছে। অথচ রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় এক হাজার নিষিদ্ধ পলিথিন তৈরির কারখানা রয়েছে।
পলিথিন ব্যবহারের কারণে জনজীবন, জনস্বাস্থ্য পরিবেশের ক্ষতির কথা উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, কেবল রাজধানীতেই ১ কোটি ৪০ লাখ পলিথিন ব্যবহৃত হচ্ছে। আর পলিথিনের প্রভাবে পরিবেশবান্ধব পাটের কদর কমে যাচ্ছে। কমছে পাট চাষ, বন্ধ হচ্ছে পাট উৎপাদিত পণ্যের কারখানা। সারাবিশ্বে পাটের কদর বাড়লে সরকারের অবহেলায় সোনালী আঁশ বিলুপ্তির পথে। আমাদের এ শিল্পকে ফিরিয়ে আনতে সরকারকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
এসময় তারা পলিথিন নিষিদ্ধেও আইন বাস্তবায়ন করতে সরকারের কাছে কয়েকটি পরামর্শ তুলে ধরেন। পরামর্শগুলোর মধ্যে রয়েছে- পলিথিন নিষিদ্ধের আইন কঠোরভাবে বাস্তবায়ন এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পলিথিন ও টিস্যু ব্যগের পরিবর্তে পাট, কাপড়, কাগজের ব্যাগ ও ঠোংগা ব্যবহার করা, পলিথিন কাঁচামাল শপিং ব্যাগ তৈরির কাচামাল পরিহার করা।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ), আইনের পাঠশালা, ইয়থ সান ও ঢাকা যুব ফাউন্ডেশন ও পুরান ঢাকা নাগরিকসহ ১৭টি সংগঠন সম্মিলিতভাবে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএ/আইএ