রাজশাহী: পারিবারিক সচেতনতা ও সামাজিক নিরাপত্তাই পারে নারীদের যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ রোধ করতে। আর এজন্য প্রতিটি পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তন প্রয়োজন।
বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজশাহী স্বপ্নীল কমিউনিটি সেন্টারের কনফারেন্স রুমে ‘যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই কথা বলেন।
‘মেয়েদের জন্য নিরাপদ নাগরিকত্ব’ (মেজনিন) কর্মসূচির আওতায় দিনব্যাপী এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করে ব্র্যাকের জেন্ডার জাস্টিস অ্যান্ড ডাইভারসিটি বিভাগ।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ফারুক আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, রাজশাহীর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালক মাহাবুব আলম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শাহানাজ বেগম, শহর সমাজসেবা অফিসার শামীমা শারমীন, জেলা তথ্য অফিসের উপ-পরিচালক শামসুজ্জামান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন যৌন হয়রানি নির্মূলকরণ নেটওয়ার্ক কমিটির আহ্বায়ক আকবারুল হাসান মিল্লাত।
বক্তব্য রাখেন সাদরুল ইসলাম, মেজনিন কর্মসূচির সেক্টর স্পেশালিস্ট ফিরোজ কবির, জুনিয়র সেক্টর স্পেশালিস্ট সোনিয়া পারভীন ও রুহুল আমিন। এতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মেজনিন কর্মসূচির সিনিয়র সেক্টর স্পেশালিষ্ট ঝর্না দাস।
সভায় বক্তারা জানান, রাজশাহী জেলায় মেজনিন ১৫টি বাল্যবিবাহ, ৩৭ জন শিক্ষার্থীর ঝরে পড়া রোধ এবং ৯৫টি যৌন হয়রানি ও নারী নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ ও প্রতিকার করেছে।
সভায় আরও বলা হয়, যৌন হয়রানি, বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে রাজশাহী জেলার ২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ সারাদেশে ১৩টি জেলার ৪০৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ও কমিউনিটির সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ করে ব্র্যাকের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০১৫
এসএস/আরএইচএস/এইচএ