ব্রাহ্মণবাড়িয়া : শুধু দলীয় প্রতীক নয়, প্রার্থীর ব্যক্তিগত ইমেজ ও বিগত দিনের উন্নয়নকাজের ফিরিস্তির হিসাব করেই এবার ভোটাররা রায় দেবেন বলেই মনে করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল মমিন বাবুল।
অপরদিকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হলে ধানের শীষ প্রতীককেই মানুষ বেছে নেবে বলে আশাবাদী আখাউড়া পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন লিটন।
প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিতব্য পৌর নির্বাচন নিয়ে আখাউড়ার স্থানীয় নেতাকর্মীদের চিন্তা-ভাবনা অনেকটা এমনই।
তবে তাদের সঙ্গে সাধারণ ভোটারদের চিন্তার ফারাক রয়েছে। তাদের কাছে দল, প্রতীক ও ইমেজ ছাড়াও বিবেচ্য বিষয় এলাকার উন্নয়ন। এসব বিবেচনা করেই তারা ৩০ ডিসেম্বর নিজেদের রায় দেবেন।
আখাউড়ায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বর্তমান মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল ও তার অনুসারীদের দাবি, গত চার বছরে এ পৌরসভার যে উন্নয়ন হয়েছে তা এর আগের ১৫ বছরেও হয়নি। ভোটাররা এটা বিবেচনায় নেবেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মন্তাজ মিয়া ও তার সমর্থকদের দাবি, সুষ্ঠু ও প্রশাসনের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হলে ধানের শীষেরই জয় হবে। সীমান্তবর্তী এ এলাকা বিএনপির ঘাঁটি। ফলে এবারও মানুষ ধানের শীষকে ভোট দেবেন।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী মো. মন্তাজ মিয়া নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বাংলানিউজকে বলেন, আমার নির্বাচনী কার্যালয় মাত্র দুটি। নির্বাচন কমিশনের লোকজন অামার অফিস গজ ফিতা দিয়ে মেপে ছোট করতে বলেছেন। অথচ আওয়ামী লীগ প্রার্থী নামে-বেনামে ২০টিরও বেশি অফিস নির্মাণ করলেও ইসি কিছু বলছে না।
জানতে চাইলে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ অস্বীকার করে আখাউড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ বদর উদ-দোজা ভূঁইয়া বলেন, আমরা সব প্রার্থীকে নির্বাচনী কার্যালয় ছোট করতে বলেছি। কাউকে এককভাবে বলা হয়নি।
২৪ হাজার ৯৫০ জন ভোটারের আখাউড়া পৌরসভায় মেয়র পদে পাঁচ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩৯ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
এসআর