ঢাকা: ঢাকার সঙ্গে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে ঢাকা-চট্টগ্রাম চারলেনের ওপরে হবে আরও একটি চারলেন। এ মহাসড়কের ওপরে ২২০ কিলোমিটার উড়াল মহাসড়ক(এক্সপ্রেসওয়ে) নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মূল ফোরলেন ১৯০ কিলোমিটার হলেও এক্সপ্রেসওয়েটির দূরত্ব আরও ৩০ কিলোমিটার বাড়বে। পদ্মাসেতুর মতোই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হতে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরে বাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এ নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চারলেনের ওপর দিয়ে এ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হবে। ঢাকা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করলে একবারে চট্টগ্রামে গিয়ে নামতে হবে। ২২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এক্সপ্রেসওয়ের অন্য কোথাও থামা যাবে না।
এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে কোনো বিপণিবিতান থাকবে না।
এদিকে বৈঠকে চলমান ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানোর চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে একনেক। চতুর্থ দফায় আরও ৬২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ব্যয় বেড়ে এ প্রকল্পের মোট ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮১৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। অন্যদিকে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় এক বছর বাড়িয়ে হয়েছে এ বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
চারলেনের ওপরে প্রস্তাবিত উড়াল সড়ক দিয়েও বাস, ট্রাকসহ অন্যান্য পরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে। একটি রুটে রেলপথের ব্যবস্থা করা যায় কি-না সে বিষয়ে খুব শিগগিরই সংশ্লিষ্টদের নিয়ে বসবেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে একনেক বৈঠকে এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি(প্রধানমন্ত্রী) আমাদের বলে দিয়েছেন এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু করতে।
তিনি জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম ফোরলেনের ওপরে আরও একটি ফোরলেন হবে। নির্মাণাধীন ফোরলেনটি ১৯০ কিলোমিটার, তবে এক্সপ্রেসওয়ে আরও একটু বেশি ২২০ কিলোমিটার হবে। এটি নির্মাণের ফলে সড়কপথে খুব কম সময়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাতায়াত করা যাবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরও জানান, এই দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়ের মাঝপথে থামার কোনো সুযোগ নেই। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে গিয়ে থামতে হবে। মহাসড়ক অনেক সময় হকাররা দখল করে ফেলেন। কিন্তু এখানে কারোরই দাঁড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।
প্রতিটি বিভাগীয় শহরে বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটার
একনেক বৈঠকে দেশের প্রতিটি বিভাগীয় শহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নভোথিয়েটার নির্মাণেরও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার বিজয় সরণিতে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু নভোথিয়েটারের আদলে সেগুলো নির্মাণ করা হবো।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, নভোথিয়েটার নির্মাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর