ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

পবায় কিশোর নির্যাতনের মামলা শিশু আদালতে স্থানান্তর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
পবায় কিশোর নির্যাতনের মামলা শিশু আদালতে স্থানান্তর

রাজশাহী: রাজশাহী পবায় দুই কিশোর নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলা শিশু আদালতে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সিনিয়র জুডিশিয়ার আদালত থেকে মামলাটি শিশু আদালতে পাঠানো হয়।



তবে এর আগে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) তথ্য গোপন করে ওই আদালত থেকে এ মামলার দুই আসামি জামিন নিয়েছেন বলে জানান এপিপি রাশেদ উন নবী আহসান।

তিনি বলেন, আইনত মামলাটি শিশু আদালতে যাওয়ার কথা। কিন্তু এই তথ্যটি গোপন করে বিচারিক আদালত থেকে দুই আসামি জামিন লাভ করেন।

এপিপি রাশেদ উন নবী আহসান জানান, মঙ্গলবার সকালে মামলার আরও ৭ আসামি একইভাবে রাজশাহীর সিনিয়ার জুডিশিয়াল আদালতে (০১) আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।

তবে নির্যাতিত শিশুদের একজনের বয়স ১৩ ও অপরজনের ১৪ বছর হওয়ার বিষয়টি বিচারক একরামুল কবীর এর নজরে আসে। এ সময় তিনি আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ না করে মামলাটি শিশু আদালতে পাঠিয়ে দেন। পরে অাসামিরা শিশু আদালতে আর আত্মসমর্পণ না করে আদালতপাড়া ছাড়েন।

আইনজীবী আহসান আরও বলেন, তথ্য গোপন করে মামলাটি সিনিয়ার জুডিশিয়াল আদালতে পাঠানো হয়। আর এই সুযোগে মঙ্গলবার এ মামলার গ্রেফতার আজিজুল ইসলাম জামিন পেয়ে যান। একই সঙ্গে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান অপর আসামি উজ্জল।

সংশ্লিষ্টদের যোগসাজসে পুলিশ মামলাটি শিশু আদালতে না পাঠিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে পাঠিয়ে ছিল বলে জানান তিনি।

মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী এনামুল হক বলেন, নির্যাতিতদের বসয় ১৩ ও ১৪ হলেও মামলায় শিশু নির্যাতন আইনের কোন ধারা দেওয়া হয়নি। ঘটনা ছিল একটি সাধারণ মারপিটের ঘটনা। সে অনুযায়ী মামলাটি সাধারণ আদালতে যায়।

আর সাধারণ মারপিটের মামলা হিসেবে গ্রেফতার হওয়া আজিজুল ইসলাম ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী বিবেচনায় উজ্জলের আবেদনে তারা জামিন পায়।

শিশু আদালতের পুলিশ পরিদর্শক রোবেকা খাতুন বলেন, ভিকটিমের বয়স ১৮ বছরের নিচে বলে সে মামলাটি তার কাছে জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু এ মামলাটি তার কাছে না দিয়ে সাধারণ আদালতের পুলিশ পরিদর্শকের কাছে দেওয়া হয়েছিল। আর সেখানে শিশু আইনের কোন ধারা না থাকায় মামলাটি সরাসরি তিনি সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে (০১) তুলেন। মঙ্গলবার এ মামলাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালত থেকে শিশু আদালতে আসে বলে বলে জানান তিনি।

তবে বিষয়টি অস্বীকার করে রাজশাহীর পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, সংঘটিত অপরাধের ধরণ বিবেচনা করে মামলার ধারা বসানো হয়েছে। আর ঘটনার পর থেকেই থানা পুলিশ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে পবার দুয়ারি মোড়ে মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। এ সময় পুলিশ প্রথমে গিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। পরে পুলিশ চলে যাওয়ার পর এলাকাবাসী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে। এ সময় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
এসএস/আরআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।